Wednesday, November 28, 2012

বেসরকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান

বেসরকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান

 

এলিট ফোর্স (এলিট সিকিউরিটি সার্ভিস)
এলিট টাওয়ার, বাড়ী-৩ রোড-৬/এ
ব্লক-জে, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
ফোন: ৮৮২৬৬৩৬, ৮৮২৬৬৮৬, ৮৮২৬৬৮৬
ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৮৮২৬৫৭৫

সিকিউরেক্স (প্রাঃ) লিমিটেড
বাড়ী-৭,  রোড-৭, ব্লক-জে
বারিধারা, ঢাকা-১২১২। বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৮২১২৩০,৮৮২৭৪৬৮,৮৮১৫২৪০
সেলস এন্ড মার্কেটিং : ৮৮১৫০৬৭ ,০১৫৫২৫৭১০৮৭
সিআরএস : ৯৮৮০৮১৪  
এটিএম সার্ভিস : ৯৮৯৪৬২১
টেকনিক্যাল ডিভিশন : ৮৭৫৩৪১৪,৮৭৫৩৪১৬
Email: tq@optimaxbd.net  

সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড
বাড়ী-১১(নিচতলা),  রোড-১,
ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫। বাংলাদেশ।
ফোন: ৯৬৬১৫৭৭, ৯৬৬৮৮০০, ৯৬৬২২৪৬, ৯৬৬২২৪৭,
৯৬৬০৯১৯, ৯৬৬০৯০১, ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৮৬২৫৪৭০

আইসিইএল প্রাইভেট লিমিটেড
বাড়ী-১৩/১,  রোড-৪,
ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫। বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৯৬৬০৮২৩, +৮৮-০২-৯৬৬৯৭১৫
ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬৬৪০৭৭


Wednesday, November 21, 2012

আগুন লাগলে কী করবেন

আগুন লাগলে কী করবেন 

প্রতিবছর অগ্নিকাণ্ডের কারণে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে, হারাচ্ছে অমূল্য সব জীবন। আগুন যাতে না লাগে সে জন্য তো সতর্ক থাকতেই হবে। আবার আগুন লেগে গেলেও কিছু সাধারণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগুন লাগার কারণ ও উৎস

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ জানান, আগুন লাগার মূল কারণ অসাবধানতা। অসাবধানতার সঙ্গে যোগ হয় অজ্ঞতা। আগুন লাগার বড় ধরনের উৎসগুলো হচ্ছে জ্বলন্ত চুলা, জ্বলন্ত সিগারেট, জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি, খোলা বাতি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, গরম ময়লা, আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু, ছেলেমেয়েদের আগুন নিয়ে খেলা বা রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া মেশিনারিজ, আবর্জনায় গ্যাস সৃষ্টি হয়ে, মেশিনের ঘর্ষণ, বজ্রপাত, গ্যাসের সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরণ, সূর্যরশ্মির প্রতিফলন থেকেও আগুন লেগে যেতে পারে।

সতর্কতা

আগুন যাতে না লাগে সে জন্য বসতবাড়ি, অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, কারখানায় অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। এ ছাড়া রান্নার পর চুলা নিভিয়ে ফেলুন। খোলা বাতির ব্যবহার পরিহার করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগ পর্যন্ত আগুন নেভানোর জন্য নিজেরা চেষ্টা করুন। বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো মাসে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করতে পারেন, প্রয়োজন হলে পুরোনো সংযোগ পরিবর্তন করে নিতে হবে। রাসায়নিক ও জ্বালানি পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধান হবেন। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন, না হলে আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিল্প-কারখানায় প্রচুর পানি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখতে হবে। সম্ভব হলে অগ্নিকান্ড মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত একজন লোক রাখতে হবে। বড় শিল্প-কারখানায় প্রতি মাসে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় অগ্নি নির্বাপণ মহড়ার ব্যবস্থাও করতে পারেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেবেন। ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর চোখের সামনে দেয়ালে লিখে রাখতে পারেন, যাতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে খবর দিতে পারেন। আপনার শরীরে বা পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে দৌড় না দিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিন। এতে আগুন নিভে যাবে। বাসায় বা অফিসে যেখানেই আগুন লাগুক না কেন, ঘাবড়ে যাবেন না। বরং মাথা ঠান্ডা রেখে কী করতে হবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। প্রতিষ্ঠানের সব জায়গা আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে। আগুন যাতে না লাগে তার জন্য প্রতিষ্ঠানের কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নষ্ট করে ফেলুন। কারণ, এগুলো থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চুলার ওপর ভেজা লাকড়ি বা কাপড় শুকাতে দেবেন না এবং ইস্তিরিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ রেখে কখনো যাবেন না। যেকোনো সময় এসব থেকে আগুন লেগে যেতে পারে।

লোক অপসারণ পদ্ধতি

বাড়িতে বা অফিসে যদি আগুন লাগে, ফায়ার সার্ভিসের জন্য বসে না থেকে নিজেরা লোক অপসারণ শুরু করে দিতে পারেন। আর আপনি নিজেও যদি আক্রান্ত হয়ে পড়েন তবে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

- আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করা যাবে না। যেকোনো সময় লিফট বন্ধ হয়ে বিপদে পড়তে পারেন।


- ছাদে না উঠে সবাইকে নিচের দিকে নামতে হবে।


- নামার সময় জরুরি নির্গমনের পথ ব্যবহার করতে হবে।


- ওপর থেকে নিচে লাফ দেওয়া যাবে না।


- জরুরি অবস্থায় নিরাপত্তাকর্মীদের টর্চ ব্যবহার করতে হবে।


- আগুন যেহেতু ঊর্ধ্বমুখী, তাই প্রথমে যে তলায় আগুন সে তলা এবং পর্যায়ক্রমে ওপরের ও সর্বশেষে নিচের তলার লোক নামাতে হবে।


- আগুনে আক্রান্ত লোকজন উদ্ধারে অবশ্যই প্রতিবন্ধী, শিশু ও সন্তানসম্ভবা নারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এরপর বৃদ্ধ লোক ও মহিলাদের উদ্ধার করতে হবে। তবে প্রতিটি জীবনই মূল্যবান।


আগুনে পুড়ে গেলে করণীয়

- আক্রান্ত ব্যক্তিকে এমনভাবে শুইয়ে দিতে হবে, যাতে তার পুড়ে যাওয়া অংশ খোলা থাকে। তারপর জগ বা মগে ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি এনে পোড়া জায়গায় ঢালতে হবে, যতক্ষণ না তার জ্বালা-যন্ত্রণা কমে এবং ক্ষতস্থানের গরমভাবও কমে না যায়।

- আক্রান্ত স্থানটি ফুলে যাওয়ার আগে ঘড়ি বেল্ট, আংটি (যদি থাকে), কাপড় খুলে ফেলবেন।


- পুড়ে যাওয়া অংশে যদি কাপড় লেগে থাকে তবে সেটা না টেনে বাকি কাপড় কেটে সরিয়ে ফেলুন।


- পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান হালকা করে বেঁধে দিতে হবে।


- যদি মুখে কোথাও পুড়ে যায় তবে পানি দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে যতক্ষণ না ক্ষতস্থান ঠান্ডা হয় ও ব্যথা কমে।


- মুখ ঢাকার কোনো প্রয়োজন নেই। পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাপড় দিয়ে এমনভাবে মাস্ক তৈরি করতে হবে, যাতে নাক, মুখ ও চোখ খোলা রেখে মুখ ঢাকা যায়।


- পোড়া জায়গা দিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পদার্থ বের হয়ে যায়, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি শকে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ তার রক্তচাপ কমে যায়, হূৎপিণ্ডের স্পন্দন কমে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। 

Friday, November 9, 2012

অনলাইন ব্যাংকিং - নিরাপত্তার কিছু দিক

অনলাইন ব্যাংকিং - নিরাপত্তার কিছু দিক

- আফরোজ_জাহান

অনলাইন ব্যাংকিং আপনার আর্থিক লেনদেনকে অনেক সহজ করে দেয়। আপনি আপনার ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করবেন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজগুলো অফিসে বা ঘরে বসেই সারতে পারবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে ও ঝামেলা কমে যাবে। ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও এড়ানো যায় সহজেই। আপনি স্ট্যানডিং অর্ডারগুলো সেটআপ করতে পারবেন, ব্যাবসায়িক লেনদেনের জন্য অন্য লোকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন, চেকবুকে অর্ডার করতে পারবেন। এমনকি সাধারণ লেনদেনের বাইরেও কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে অনলাইন ব্যাংকগুলো। এইজন্যই অনলাইন ব্যাংকগুলো সারা পৃথিবীতে এত জনপ্রিয়। বিশ্বজুড়ে ক্রিমিনালদের আক্রমনের প্রধান লক্ষ্যবস্তও এটি। আমরা আজকে কিছু প্রধান ক্রিমিনাল এ্যাটাক ও কিভাবে প্রতিহত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।
১. ফিসিং পদ্ধতি- আপনার ব্যাংকে ক্রিমিনালদের একাউন্ট থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে কিন্তু এরা আপনাকে এই মর্মে ব্যাংক থেকে চিঠি পাঠাবে যেন আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার জন্য জরুরী আপনার ব্যাংকিং ডিটেইলস আপডেট করা প্রয়োজন। এরা আপনাকে ভয় দেখিয়ে কাজ উদ্ধার করতে চাবে। ডিটেইল তথ্য হাতে পাওয়ে মাত্র এরা আপনার সব টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাবে।
২. ডিটেইল আপডেট করার জন্য মেইল আসবে তাতে আপনার ব্যাংকের ঠিকানার মতো কাছাকাছি ঠিকানা দেয়া থাকবে। যেমন - http://www.theweebank.com হল আপনার ব্যাংক এড্রেস কিন্তু ওরা কাছাকাছি এড্রেস পাঠাবে যেটি দেখতে হুবহু একই রকম http://www.thevveebank.com। এখানে w' র পরিবর্তে দুটো ভি বসানো আছে যা হঠাৎ করে চোখে পড়বে না।
৩. থার্ডপার্টি কোন সফটওয়্যার পিসির কন্ট্রোল নিয়ে নিতে পারে।
৪. ভাইরাস, স্পাম, স্পাইওয়্যার প্রভৃতি পিসির ক্ষতি করতে পারে।
৫. কম্পিউটার হ্যাক হতে পারে।
৬. ফ্রেমিং - কনফিডেনসিয়াল একসেস কোড চুরি করার এটা আরেক উপায়। এটা ইউজারকে ভুল সারভারে রিডাইরেক্ট করে দেয়। আপনার পিসির হস্ট ফাইল থেকে ডোমেইন নাম চুরি করতে পারে এরা, বা ডোমেইনের নাম রেজ্যুলুশন আছে এমন ডিএনএস সার্ভারে ম্যানিপুলেট করতে পারে।

কাস্টমার রা যখন অনলাইনে নিয়মিত তাদের ব্যালেন্স চেক করেন, নেটে থাকেন তখন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের জন্য কি করবেন:

১. সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করুন ও নিয়মিত আপডেট করে পিসি স্ক্যান করুন। পার্সোনাল ফায়ারওয়াল আপনার পিসিকে অধিক সুরক্ষিত রাখবে। ভাল এন্টিভাইরাস, এন্টস্পাইওয়্যার ব্যবহার করুন।
২. সেনসিটিভ ডাটা কোথাও পাঠাতে হলে প্রোটেক্ট করে পাঠান। আপনার পিন নাম্বার ও দরকারী তথ্য তখনই দিবেন যখন আপনি নিশ্চত যে আপনি ব্যাংকের নিরাপদ ও সুরক্ষিত পেজে আছেন। সেইসাথে ইন্টারনেটে ব্যাংকের ঠিকানাটা ভালভাবে চেক করে নিন।
৩. কার সাথে যোগাযোগ করছেন নিশ্চিত হয়ে নেবেন কোন লেনদেন করার আগে। ব্যাংকের ঠিকানা এড্রেসবারে ভালমতো বানান চেক করে নিন। ব্রাউজার প্রেরিত সিকিউরিটি তথ্য যেমন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন চেক করুন। ইন্টারনেট সাইটের নাম ও সিকিউরিটি সার্টিফিকেটে দেয়া নাম একই আছে কিনা যাচাই করে নিন। বিশ্বস্ত সার্টিফিকেশন অথরিটি সম্পর্কে ব্যাংকে খোঁজ খবর নিন। যে কোন ধরনের ফিসিং বা পাসওয়ার্ড ফিসিং পরিহার করুন। ফ্রেমিং পরিহার করুন। আপডেটেড এন্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল আপনাকে এই কাজে সাহায্য করবে। তাই ফায়ারওয়াল, পপআপ ব্লকার ও স্পাইওয়্যার ডিটেকটর ইন্স্টল ও ব্যাবহার করতে হবে।
৪. সেনসিটিভ ডাটা ও একসেস মিডিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অবান্ছিত একসেস থেকে পিন, চিপকার্ড প্রোটেক্ট করুন। অনলাইন মানি সার্ভিস বা শপিং করার সময় সতর্ক থাকুন এধরনের ডাটার ব্যাপারে। আপনার হার্ডড্রাইভে পিন নাম্বার, একসেস কোড বা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার সংরক্ষণ করবেন না। শুধুমাত্র ব্যাংকের সাথে লানদেনের সময় পিন, একসেস কোড ইউজ করুন। আপনার একাউন্ট লেনদেনের সময় কোন কারনে ব্লক হয়ে গেলে ব্যাংকে তাড়াতাড়ি জানান।
৫. সবসময় সেফ, সিকিউর ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। ভাল পাসওয়ার্ড ৬ থেকে ৮ কেরেক্টারের হয় ও অক্ষর আর নাম্বারের কম্বিনেশন হয় যাতে সহজে কেউ আন্দাজ করতে না পারে।
৬. ইমেইল ফিল্টার ব্যাবহার করতে হবে স্পাম ব্লক করার জন্য।
৭. না বুঝে কোন সফটওয়্যার বা ইমেইল এটাচমেন্ট ডাউনলোড করা যাবেনা।
৮. আপটুডেট প্রোগ্রাম ভার্সন ব্যবহার করুন। সফটওয়্যার ম্যানুফেকচাররা বাগ ফিক্সিং ও প্যাচেস তৈরী করে নিরাপত্তার জন্য। এগুলো ঠিকমতো ও নিয়মিত ইন্সটল করুন।
৯. আপনার পিসিতে নিয়মিত সিকিউরিটি চেক রান করুন।
১০. ব্রাউজারের সিকিউরিটি সেটিংস এক্টিভেট করুন।
১১. আপনার বর্তমান একাউন্ট টি বাজে বা ভুল লেনদেনের জন্য ইউজ করবেন না।
কিভাবে জরুরী অবস্হা মোকাবেলা করবেন সেটা জেনে নিন:
*কোনরকম সন্দেহ হলে অনলাইন শপিং, ব্যাংকিং ও অন্যান্য বিষয় যেগুলোতে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য সেনসিটিভ তথ্য দিতে হয় সব বন্ধ করে দিন।
*সিকিউরিটি সফটওয়্যার আপডেট করে কম্পিউটার স্কেন করুন। অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে দিন। তারপর পিসি রিস্টার্ট করুন।
*সত্যি বড় ধরনের কোন ঝামেলা হয়ে গেলে এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিতে হবে ডাটা পুনরুদ্ধারের জন্য।

Source: http://www.somewhereinblog.net 

 

Thursday, November 8, 2012

২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিয়ে ১৫দিনেও পৌঁছে না ডকুমেন্ট\ হারিয়েও যায়

২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিয়ে ১৫দিনেও 
পৌঁছে না ডকুমেন্ট\ হারিয়েও যায়

মিয়া হোসেন : দেশের যে কোন স্থানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং বিদেশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডকুমেন্ট পৌঁছানোর শ্লোগান দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার। কিন্তু বর্তমানে তাদের সেবা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিলেও ১৫ দিনেও পৌঁছে না ডকুমেন্ট। এমন কী অভিযোগ করেও তার কোন সমাধান মিলছে না। ডকুমেন্ট হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের সেবার  বেহাল অবস্থা। ডকুমেন্ট যথাসময়ে পৌঁছে না। আর ডকুমেন্ট না পৌঁছলে তা প্রেরককে ফেরত দেয়া হয় না। কোন ডকুমেন্ট না পৌঁছলে অফিসে অভিযোগ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মগবাজার ওয়ারলেস রেলগেট শাখা থেকে গত ১০ অক্টোবর একটি ডকুমেন্ট ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। যার রশিদ নাম্বার ৪৭০৩৮১। ২৪ ঘণ্টায় ডকুমেন্ট পৌঁছানোর কথা বলা হলেও ১০ দিন পার হয়ে যায়। কিন্তু ডকুমেন্ট পৌঁছে না। অবশেষে তিনি সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রধান কার্যালয়ে ২১ অক্টোবর অভিযোগ করেন। প্রধান কার্যালয়ের অভিযোগ বিভাগ তা খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে আরো কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে যায়। তবু ডকুমেন্ট পৌঁছে না। আবার ওয়ারলেস রেলগেট শাখায় অভিযোগ করা হলে, শাখা থেকে জানানো হয়, আপনার ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ প্রধান কার্যালয়ের লিপিবদ্ধ হয়েছে। যার নাম্বার ৪৯৪, তারিখ ২১ অক্টোবর ১২। আমরা একাধিকবার খোঁজ নিয়েছি, এ বিষয়ে এখন আমাদের কিছু করার নেই। এখনো পর্যন্ত এ ডকুমেন্টের কোন হদিস পায়নি গ্রাহক। এভাবে অনেক গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডকুমেন্ট হারিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, তারা প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ পেয়ে থাকেন। এ সব অভিযোগ খাতায় লিপিবদ্ধ করে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়। প্রাপকের ঠিকানা না পাওয়া গেলে বা প্রাপক গ্রহণ না করলে ডকুমেন্ট প্রেরকের কাছে ফেরত দেয়া হয়। প্রতিদিন এমন ২/৩টি ডকুমেন্ট ফেরত যায় বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের ডিজিএম সাইফুল ইসলাম তপন দৈনিক সংগ্রামকে জানান, এক দেড় মাস আগে আমাদের এ সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন আর এ ধরনের কোন সমস্যা নেই। কোন ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে তিনি জানান।

রেইনবো ফুডের গুণাগুণ ও রাসায়ণিকযুক্ত ফলমূল , শাকসবজি ও মাছ থেকে বাঁচার উপায়

রেইনবো ফুডের গুণাগুণ ও 
রাসায়ণিকযুক্ত ফলমূল , শাকসবজি ও মাছ থেকে বাঁচার উপায়

রংধনুর সাতটি রঙের মত ফলমূল ও শাকসবজিকে সাতটি রঙে ভাগ করা যায়। ফলমূল ও শাকসবজিতে বিদ্যমান রঞ্জক পদার্থের কারণেই  ফলমূল ও শাকসবজি রঙিন হয়ে থাকে । প্রডিজ ফর বেটার হেল্থ ফাউন্ডেশন (পিবিএইচ) এর তথ্য অনুসারে এই রঞ্জক পদার্থগুলো এন্টিঅক্সিডেন্ট ( রোগ প্রতিরোধক) হিসেবে কাজ করে, আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে থাকে এবং ক্যান্সারের  হাত থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে । এই  সাতটি রঙের ফলমূল ও শাকসবজিকে একত্রে রেবো ফু বলে । রেইনবো ফুড আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্য অত্যাবশক। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অল্প করে হলেও সাতটি রঙের ফলমূল ও শাকসবজি রাখা উচিত। কখনই একটি  রঙের ফলমূল ও শাকসবজি উচিত না কারণ এতে দেহের চাহিদা পূরণ হয় না, ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবটা থেকেই যায়।

এবার চলুন জেনে নিই প্রতিটি রঙিন ফলমূল শাকসবজির স্বকীয় গুণাগুণ:

লাল ফলমূল ও শাকসবজি:

ফলমূল ও শাকসবজি মূলত উদ্ভিদে উপস্থিত প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ লাইকোপেন ও এ্যান্থেসায়ানিনের কারণে লাল হয়ে থাকে । টমেটো, তরমুজ, লাল পেয়ারা, লাল পেঁয়াজ, লাল শাকে লাইকোপেন বিদ্যমান যা বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় । স্ট্রবেরী,রাস্পবেরী, ক্র্যানবেরী ,লাল আঙুরে থাকে এ্যান্থেসায়ানিন যা অত্যন্ত শক্তিশালী এন্টিঅক্রিডেন্ট হিসেবে কাঝ করে, আমাদের দেহের কোষগুলোকে রক্ষা করে ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।লাল রঙ হলো শক্তি, কর্মোদ্যোগ ও পরিবর্তনের প্রতীক। যখন আমরা বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন থাকি, দুঃসহ সময় কাটাই তখন খাবার তালিকায় লাল ফলমূল ও শাকসবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত, কারণ লাল ফলমূল ও শাকসবজি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে। আর যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন এবং ঠান্ডায় সংবেদনশীল তাদের জন্য  লাল ফলমূল ও শাকসবজি অপূরণীয়।
হলুদ কমলা ফলমূল শাকসবজি:
হলুদ ও কমলা ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন নামক রঞ্জক পদার্থ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, চামড়ায় বলিরেখা পড়া রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে থাকেন তাদের বয়স সমন্ধীয় ও চোখের সমস্যা ৪৩% কমে যায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৬% কমে যায়।
কমলা রঙ হলো আনন্দ ও সুখের প্রতীক । কমলা রঙের ফলমূল ও শাকসবজি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে যেমন মানসিক প্রশান্তি আনে। অন্যদিকে হলুদ হলো মনের ও বুদ্ধির রঙ। হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি এর মাধ্যমে আমরা বিষণ্ণতা, বাজে চিন্তা ও অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি।নিজেকে নিয়ন্ত্রণেও হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
সবুজ ফলমূল ও শাকসবজি:



সবুজ ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে ক্লোরোফিল, কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে লুটেইন( মটর, কাঁচা মরিচ,শসা ইত্যাদি)। সবুজ ফলমূল ও শাকসবজি এর গুণাগুণ আমরা ছোটবেলায় সবাই অনেক পড়েছি- সবুজ ফলমূল ও শাকসবজিতে  প্রচুর ভিটামিন আছে, এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে । যারা আমার মত পিসিতে বেশিক্ষণ থাকেন বা ক্যামেরায় কাজ করেন তাদের উচিত লুটেইন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খাওয়া, এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা যায়। সবুজ  রঙের ফলমূল ও শাকসবজি দেহের ওজন কমিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে।

বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজি:


বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে এ্যান্থেসায়ানিন।আমাদের দেশে বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজি খুব কমই আছে । চিত্রের ফলমূল ও শাকসবজির মাঝে শুধুমাত্র বেগুন আমাদের দেশে পাওয়া যায়।বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

সাদা ফলমূল ও শাকসবজি:


সাদা ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে এ্যান্থজেন্তেনি । সাদা ফলমূল ও শাকসবজি কোলস্টেরল ও রক্তচাপ কমায়, স্টোমাক ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
এতক্ষণ তো জানলাম ফলমূল ও শাকসবজির নানা গুণাগুণ, কিন্তু আমাদের দেশের যা অবস্থা তাতে রাসায়নিকমুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি পাওয়ার কোন উপায় নেই।ফলে ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে উপকৃত হওয়ার পরিবর্তে আমরা অসুস্ত হয়ে পড়ছি|অধিক ফলন পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে অধিক রাসায়নিক সার।ফলমূল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ইথিলিন ও নানা ধরনের রাসায়নিক স্প্রে।মাছে ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন।

খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্তিতি নানা পরীক্ষার মাধ্যমে করা যায় যেমন-
১। ফরমালডিহাইডের দ্রবণের সঙ্গে ২ সিসি ফিনাইল হাইড্রোজাইন হাইড্রোকোরাইড (১%) এবং ১ সিসি ৫% পটাসিয়াম ফেরিসায়ানাড দিয়ে তারপর ৫ সিসি ঘনীভূত হাইড্রোকোরিক অ্যাসিড মেশালে পুরো দ্রবণ গাঢ় গোলাপী রঙ হয়ে থাকে। একে বলা হয় সেরিভারস্ টেস্ট।
২। ফরমালডিহাইডের হালকা দ্রবণ যেমন মাছে ফরমালিন দেয়া আছে তা ধুয়ে তার পানিতে ১ সিসি সোডিয়াম নাইট্রোপ্রোসাইড মেশালে গাঢ় সবুজ নীল রঙ ধারণ করে। এতে ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে। এ সমস্ত কেমিক্যাল এবং রি-এজেন্ট পাওয়া খুব কঠিন এবং দামও অনেক বেশী।
তাই সহজ এবং সাধারণ একটি পদ্ধতি বের করা যায়। যেমন সন্দেহযুক্ত ফরমালিন মাছ ধুয়ে পানিতে ৩% (ভলিউম) হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশালে ফরমালডিহাইড অক্সিডাইজড হয়ে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তর হয়। ফরমিক এসিড প্রমাণের জন্য সে পানিতে অল্প মারকিউরিক কোরাইড মেশালে সাদা রঙের তলানি পড়বে। তাতেই প্রমাণ হবে ফরমিক অ্যাসিড তথা ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন।
এখন কথা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালনিরে উপস্তিতি পরীক্ষার উপকরণগুলো সহজলভ্য নয় । আর সবচেয়ে বড় কথা, কেনার সময় যদি সাথে করে এসব নিয়ে যেতে হয় তাহলে হয়তো কেনাটাই ছেড়ে দিতে হবে

তাই আমরা জনসাধারণ যাতে সহজ উপায়ে চিনতে পারি বা থেকে কিছুটা রক্ষা পাই সেই চেষ্টাই করি-
১. ফরমালিনবিহীন মাছের ফুলকা উজ্জ্বল লাল র্বণ , চোখ ও আঁইশ উজ্জ্বল হয়,শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়,মাছের দেহ নরম হয় ।অন্যদিকে ফরমালিনযুক্ত মাছের ফুলকা ধূসর, চোখ ঘোলাটে ও ফরমালনিরে গন্ধ পাওয়া যায় হয়,আঁইশ তুলনামূলক ধূসর র্বণরে হয় ,শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায়, দেহ তুলনামূলক শক্ত হয় ।
২.পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
৩. লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।
 ৪.প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
 ৫.সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।
৬.যে ধরনের রাসায়নিক দেয়া হোক না কেন যদি একটু আমরা একটু সচেতন হই তাহলে ফল খাওয়া সম্ভব। আমাদের যা করতে হবে তা হল- খাওয়ার আগে এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশী সময় ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৭.লিচু কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকার পর হয় ইটা লাল। এখন গাছে রাসায়নিক স্প্রে করে যার ফলে লিচু গাঁড় মেজেনটা রং ধারন করে তা বড়ই মনমুগ্ধকর। কিন্তু  চকচক করলে সোনা হয় না সেটা মনে রেখে কখনোই গাঁড় মেজেনটা রঙ্গের লিচু কেনা যাবে না।
৮.সবজি রান্না করার আগে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
৯.বেগুনে এক ধরনের রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করা হয় ।এই রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার ক্ষতিকর না যদি নিয়মানুসারে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকেরা এ ব্যাপারে অজ্ঞ।তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।প্রতিটি কীটনাশকের ক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত থাকে।যেমন- একটি কীটনাশকের সেলফ লাইফ বা জীবন সীমা ৭দিন, তার মানে কীটনাশকটা ব্যবহারের ৭দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, যা কীটপতঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।তাই কৃষকদের উচিত কীটনাশক ব্যবহারের অন্তত ৭দিন পর ফলন তোলা।কিন্তু তারা তা না করে ২-১ দিনের মাঝেই ফলন তোলেন।ফলে কীটনাশকের ক্রিয়া ক্ষমতা  থেকে যায়, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের উপর। তাই বাজারে সতেজ, উজ্জ্বল বেগুন না কিনে কিছুটা অনুজ্জ্বল, পোকায় কিছুটা আক্রান্ত এমন বেগুন কেনাই ভালো।

তথ্যসূত্র:
ফরমালিন টেস্ট- ১. সাইন্স ল্যাবরেটরী কর্তৃক  প্রচারিত লিফলেট
২.ডাঃ এ বি এম আবদুল্লাহ[বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়] 

লিখেছেন: সাবরিনা সুখী, http://www.techspate.com

Tuesday, November 6, 2012

অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা

অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা

বিভিন্ন সময়ে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন অনেকেই বড় অংকের টাকা নিয়ে যাতায়াতে বেশ উদ্বিগ্ন থাকেন। সব সময় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব না হওয়াতে ব্যক্তি পর্যায়ে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নগদ টাকা পরিবহন করতেই হয়।
 
বড় অংকের অর্থ আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন আপনি। যেদিন পুলিশী নিরাপত্তা প্রয়োজন হবে তার চার থেকে পাঁচ দিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর কবে এবং কোথায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন সেটা জানিয়ে আবেদন করতে পারেন, এজন্য আলাদা কোন মাশুল দিতে হবে না। আর দরখাস্ত করতে সশরীরে যেতে হবে রমনায় অবস্থিত পুলিশ কমিশনার অফিসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক্সচেঞ্জের( ৯৯৯ নম্বরে) ২২২২, ২৩৩৩, ২৪৪৪, ২৬৬৬  এক্সটেনশন নম্বরে ডায়াল করে বিস্তারিত জানতে পারেন।