Thursday, October 6, 2011

পারসোনার স্পা দৃশ্য এখন জনপ্রিয় ওয়েব সাইটে


পারসোনার স্পা দৃশ্য এখন জনপ্রিয় ওয়েব সাইটে

শফিক রহমান :: পারসোনা বিউটি পার্লারের সিসি ক্যামেরা কেলেঙ্কারির পর এবার গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা অর্ধ শতাধিক স্থিরচিত্র জনপ্রিয় ওয়েব সাইট ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ায় তোলপাড় চলছে। এই অপকর্মটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে খোদ পারসোনা কর্তৃপক্ষ।
প্রায় অর্ধ শতাধিক নারীর স্পা করার দৃশ্য শোভা পাচ্ছে ফেসবুকে। নারীদের স্পা করার চিত্র দেখে গত তিনদিনে ফেসবুকে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ পারসোনাকে ধিক্কার দিয়েছেন।

এদিকে পারসোনার সিসি ক্যামেরা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট চূড়ান্ত হলেও বুধবার তা দাখিল করা হয়নি। তদন্ত কমিটির প্রধান গুলশান ডিভিশনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এডিসি নিজামুল হক মোল্লা জানান, তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই তা জমা দেওয়া হবে। পারসোনা বিউটি পার্লারের

গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা স্পা দৃশ্যগুলো নারী গ্রাহকদের অজান্তে গোপন ক্যামেরায় তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন ফেসবুকে পারসোনার ওয়েব সাইটে পরিদর্শনকারী প্রায় শতাধিক নারী- পুরুষ।

ফেসবুকে পারসোনা সাইট পরিদর্শনকারী কুশল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, দৃশ্যগুলো নারী গ্রাহকদের অজান্তে তুলে পারসোনা ব্লাকমেইল করেছেন। ফারহানা হালিম শান্তা মন্তব্য করেছেন ছিঃ, এটা কি করে করল পারসোনা। ওরা বিশ্বাস ঘাতক, ওদের বিচার করুন। নাসিম আনজুম সিয়ামের মন্তব্য যারা নারী হয়ে নারীর ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের জানাই ছিঃ ছিঃ ছিঃ। নিশাত খান সোমার মন্তব্য, এটা স্পা না জঘন্য কারবার। সেলিনা খান ছোটনের মন্তব্য আহ কি শান্তি। ফারজানা ইয়াসমিনের মন্তব্য রিলাক্স। শামামা সেহরিনের মন্তব্য জোশ ছবি। মনিকা শারমিনের মন্তব্য লাভলি। নাহিদা ইমরান নিশুর মন্তব্য স্পার দাম কত?

ফেসবুকে নারী গ্রাহকদের স্পার দৃশ্যগুলো পারসোনার দাবি করে কপিরাইট হিসেবে পারসোনা হেয়ার অ্যান্ড বিউটি পার্লার লিমিটেড উল্লেখ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে পারসোনার বনানী ও গুলশান শাখায় যোগাযোগ করা হয়। গুলশান শাখায় ফোন রিসিভকারী লাকী নামের জনৈকা নারী প্রথমে স্পা কি জানেন না এমন মন্তব্য করেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কানিজ আলমাসকে চাওয়া হলে তিনি কিছুক্ষণ ফোন ধরে রেখে বলেন, ম্যাডাম চলে গেছেন। পরে বনানী শাখায় যোগাযোগ করা হলে সেখানকার ইনচার্জ পরিচয়দানকারী মিজানুর রহমান দৈনিক ডেসটিনিকে জানান, পারসোনা নারীদের একাধিক রকমের স্পা করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে কয়েক ধরনের বডি (শরীর) ক্লিনিং, বডি ম্যাসাজ, বডি ফেসিয়াল ইত্যাদি। স্পার মূল্য কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৬০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। বিষয়টা সার্ভিসের ওপর নির্ভর করে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শুক্র, শনি ও বৃহস্পতিবার_ এই তিনদিন পারসোনায় স্পা করা নারীদের ভিড় থাকে। এ সময় স্পা করতে সিরিয়াল পড়ে।

একাধিক বিউটি পার্লার বিশেষজ্ঞ  জানান, স্পা আসলে টাকাওয়ালাদের সৌন্দর্যবর্ধনের নামে এক ধরনের ফূর্তি। এটা না হলেও যেমন চলে তবে বাড়তি কিছু। তবে বিউটিশিয়ানরা জানান, আসলে দেহমনের প্রশান্তি এনে দেওয়ার এক ধরনের থেরাপির নাম হচ্ছে স্পা। সাধারণভাবে বডি ম্যাসাজ নামে স্পা সমধিক পরিচিত।

শরীর ও মনের সুখের জন্য মহিলারা বিউটি পার্লারে স্পা করে। জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের স্পার রয়েছে বিউটি পার্লারে। এর মধ্যে বডি ম্যাসেজ, হেয়ার ম্যাসেজ, ফেইস ম্যাসেজ, নার্ভ, ব্রেন, জয়েন্ট ও ব্যাকপেইনের ম্যাসেজ। ইদানীং চিকিৎসার ক্ষেত্রেও স্পার ব্যবহার বাড়ছে বলে একাধিক লেজার চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাসের সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার পিএ পরিচয়দানকারী এক নারী জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ব্যস্ত পরে কথা বলবেন।

এদিকে বিউটি পার্লার পারসোনার সিসি ক্যামেরা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত হলেও তা জমা না দিয়ে ৩ দিন সময় বাড়িয়ে নিয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, শিগগিরই তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। পূজার ব্যস্ততার কারণে তারা তদন্ত কাজ শেষ করতে পারেননি বলে সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন। তদন্ত কমিটি পারসোনার স্বত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খান, অভিযোগকারী নারী চিকিৎসক তার স্বামীসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে পারসোনার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ঘটনায় জব্দ করা হার্ডডিস্ক থেকে ধারণ করা ভিডিওর কিছু অংশ মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি।




স্পা থেকে সমকামিতা হয়ে আবু গারীব কারাগার (নারীবাদী/নগ্নবাদীদের মহৌষধ) 

 

Shabnaj Rafnee Mithila আপার এই নোটটি ফেসবুকে অসংখ্যবার শেয়ার এবং হাজার হাজার বার লাইক করা হয়ে গেছে। এবং ব্লগেও অনেকবার শেয়ার করা হয়েছে। তারপরও আবার শেয়ার করলাম। পড়ে না থাকলে নিজ দায়িত্বে পড়ে নিন।
..............
আমার ভেতর থেকে প্রচন্ড তাগিদ না পেলে আমি লিখতে বসিনা। ওটা আমার কাজও না। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেও আমার আপত্তি নেই যতটা আপত্তি এই লিখার ক্ষেত্রে। এই লিখা যখন লিখছি তখন প্রচন্ড রাগে আমার গা জ্বলছে।
আমি এত ভূমিকা না করে সরাসরি আসল কথায় আসি। স্পা না করলে কি মেয়েরা মরে যাবে? বাঙ্গালী মেয়ারা যথেষ্ঠ রূপবতী। এই রূপ গত কয়েক বছরে ধুম করে জেগে ওঠেনি। তারা আগেও রূপবতী ছিল এখনো আছে। আমি জানিনা যে স্পা তে এমন কি আছে যে তার রূপে এমন বিশেষ কিছু অ্যাড করবে যা না থাকলে তার জীবন চলবেনা? যার কারনে অন্য একজন মানুষের সামনে আধা নগ্ন হয়ে body message করাতে হবে। লজ্জা শরমের মাথা কি কাঁচাই খেয়ে ফেলছি আমরা?

আমাদের মায়েরা ,দাদীরা,নানীরা তো কোনদিন এইসব করেনি। তাতে কি আমাদের বাবারা, নানারা,দাদারা তাদের ছেড়ে চলে গেছে? না তাদের বিয়ে হয়নি? কি ক্ষতি হয়েছে তাদের যারা নিজেদের অন্যের সামনে কাপড় খুলে শরীর মর্দন করান নি?

আমি নিজে মেয়ে মানুষ। আমি খুব ভাল করেই জানি মেয়েরা এত সাজ গোজ কেন করে। খুবই সিম্পল উত্তর। মানুষ তাদের দিকে তাকাবে , প্রশংসা করবে। কার না ভাল লাগে প্রশংসা শুনতে! আমারো ভাল লাগে।কিন্তু আপারা দুনিয়ায় খালি আমরা মেয়েরাই নাই। আমাদের ভাইরাও আছে। সৃষ্টিগতভাবে যারা আপনাদের উপর এবং আপনারা তাদের উপর দূর্বল। কিন্তু এইটা ভাইদের ক্ষেত্রে একটু না অনেক বেশি। এই কথাগুলা বলতে আমার খুবই খারাপ লাগে। অনেক বেশি লজ্জা লাগে এই জন্য যে এত ব্যাখ্যা করে আমার বোনদেরকে এসব আমার বলতে হয়। আমি বাংলায় এসব লিখতে পারবনা।


Most of the man gets sexually aroused when---


আপনি টাইট ফিটিং কাপড় পরেন।

আপনি ওড়না পরেন না/ গলায় ঝুলায় রাখেন/ একপাশে ঝুলায় রাখেন।

আপনি যখন অর্ধস্বচ্ছ কাপড় পরেন। 
আপনার পেট/পা/পীঠ যখন দেখা যায়।
আপনি যখন ঠোঁট রাঙ্গান।

আপনি যখন চোখে স্মোকি সাজ পরেন।

আরও শত শত কারন থাকতে পারে।


কি ? মনে হচ্ছে যে ছিঃ ছিঃ ছেলেরা এত খারাপ! তাইনা? The fact is that they are CREATED like this. Do you understand my dear sisters? THEY ARE CREATED BY ALLAAH LIKE THIS.


শুধু আল্লাহ্‌র ভয়/সমাজের ভয়/ ভালত্ব/ সুস্থ বিবেক আছে দেখেই এখনো কোন ভাই এই ধরণের আপাদের রাস্তায় ধরে কষে কষে কয়েকটা চড় বসান নি।[আল’হামদুলিল্লাহ। এই বিপদ আমার উপর আসার আগেই আল্লাহ্‌ আমাকে রক্ষা করেছেন।একবার কি হল, তখনো আমি ঠিকমত হিজাব করিনা, মাথায় একটু আধটু কাপড় দেই। একদিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্লাসে গেছি। মাথায় কাপড় দেইনি। আমাদের সাথে সিনিয়র অফিসাররাও ক্লাস করতেন। এঁদের মধ্যে একজন ভাই পুরো ক্লাসের মধ্যে আমাকে এমন ঝাড়ি দিলেন! টিচার ছিল, সব স্টুডেন্ট ছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, ক্লাস থেকে বের হয়ে গেছি। অনেক কান্নাকাটি করেছি। ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, "The Jews know our scriptures better than us, but they do not follow.[Inspite of knowing about hijab you don't wear it properly,so] Do you think you are better than that Jew?" এই একটা কথা আমার ভেতরটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম হিজাব পরলে আমার কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে যায়, এ সি রুমেও ঘামতে থাকি। উনি বললেন, " Did you ask Allaah to help you with this?" আসলেই তো, যার জন্যে হিজাব করছি তাঁর কাছেই তো সাহায্য চাইনি। আমি আর কোন উত্তর দিতে পারিনি ভাইয়াকে। উনি ঠিক কথাই বলেছিলেন আমাকে। হয়ত রুক্ষভাবে বলেছেন,কিন্তু ওই সময় আমার জন্য ওগুলো থাপ্পড়ের কাজ করেছে, আল'হামদুলিল্লাহ এখন তীব্র গরমেও মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখলেও আমার কোন অসুবিধা হয় না। আমি গরম লাগার দোহাই দিই। কিন্তু ওইদিন কি হবে যেদিন সূর্য মাথার এক হাত উপরে থাকবে। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। ]

আপারা,আরো কয়েকটা uncensored কথা বলি। এটা জানেন তো যে মানুষ(অধিকাংশ) খুব সহজেই বোর হয়ে যায় আর নতুন কিছু খুঁজতে থাকে যা তাকে আনন্দ দেবে। পশিমাদের মধ্যে হোমসেক্সুলালিটি এত বেশি এর কারন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? কেন যেখানে চাইলেই মানুষ আপনার বিছানায় আসতে রাজী সেখানে কেন মেয়ে মেয়ের সাথে ছেলে ছেলের সাথে যেতে চায়? এরা নারী দেহ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এদের রূচি আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে গেছে। এখন তারা নিজেদের মধ্যে থেকেই সংগী খোঁজে। আল্লাহ্‌ মাফ করুন। হেদায়েত দিন।


আপারা, আমার লেখা এলোমেলো হচ্ছে আমি জানি। রেগে আছি তো তাই।

একটা কথা বলি শোনেন। আপনি মানুষকে যা দেখাবেন তা দেখেই তারা আপনার মূল্যায়ন করবে। মানুষের শরীরের সৌন্দর্য এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই আজকে যারা আপনাকে বলছে, তোকে তো দারুন লাগছে/ আপনার ফেসবুকের ছবিতে প্রশংসার পর প্রশংসা করে যাচ্ছে...... ।।আর এই সব দেখে আপনি খুশিতে ডগমগ করেন।।আজ থেকে ২০ বছর পরের কথা চিন্তা করেন...এই ছেলেরা তখন ৩৮/৪০ ।তখন আপনার প্রশংসা করবেনা। তারা কিন্তু ঠিকই ১৬-২৫ দেরকেই খুঁজবে।

কিন্তু আপারা, একটা কথা জানেন? মনের সৌন্দর্য শেষ হয় না। মন জরাগ্রস্ত হয়না। একটা সুন্দর মন, শালীন দেহ সর্ব কালে সর্ব যুগে প্রশংসিত। আজকের বোরকা পরা মেয়েকে দেখলে যেমন আপনার যারা প্রশংসা করে সেই ছেলেরাও মাথা নামিয়ে নেয়,আমার দাড়ি টুপি ওয়ালা ভাইরাও নামিয়ে নেয়। আজ থেকে ২০ বছর পর দেখলেও তারা দৃষ্টি নামিয়ে নিবে, ইনশা’আল্লাহ। আমার এই বোনেরা আজকেই সম্মানিত। কালকেও থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌। আর আপনাদের কি হবে? আজকে আপনারা যাদের চোখ জুড়াচ্ছেন কাল তারা আপনার দিকে তাকাবেই না। আর সম্মান??? সেটা আজকেও কেউ আপনাদের করেনা, ভবিষ্যতে করবে কি আল্লাহ্‌ ভাল জানেন।


আপারা, চাকরানী চেনেন??? দাসী চেনেন??? আপনার হলেন পুরুষদের চাকরানী নয়তো মেকাপের দাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে এত সাজ গোজ যে করেন...পরে তো সেগুলো তত কষ্ট করেই ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হয়। কি লাভ এই কৃত্তিমতার?


এই যে একেকজন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং , ভার্সিটিতে পড়ছেন অথচ নিরেট মূর্খের মত আচরণ কেন করছেন?

আপনার এত এত বিদ্যা আপনাকে কেন রঙ চঙ্গের আশ্রয় নেয়া থেকে বাঁচাতে পারেনা???

কেন অফিসে/অফিসিয়াল কনফারেন্স/কনভোকেশন/নবীন বরণ/ ফেয়ারওয়েলে যাবার আগে আপনার নিজের চেহারায় এত ঘষা মাজা করতে হয়? এসব যায়গার তো আপনি আপনার লেখাপড়ার কল্যানেই যাচ্ছেন তাই না? তাহলে কেন সব কিছু ছাপিয়ে আপনার সাজ গোজ সেখানে প্রাধান্য পাবে???

কি করলেন এত লেখাপড়া করে যা আপনার মানসিকতাকে বদলাতে পারেনি?

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও কেন আপনাকে ছোট ছোট কাপড়, কিছু রঙ চঙ্গের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বলতে পারেন?

আপারা বলেন তো দেখি আপনার এক মাসের পার্লারের খরচ দিয়ে কয়জন ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানো যায়? আচ্ছা ধরলাম চালের কেজি ৫০ টাকা। ২০০০ টাকা হলে এক মণ চাল হয়। একটা ছোট পরিবারের ১৫-২০ দিনের খাবার ব্যবস্থা হয়ে যায়। কোনদিন ৫০০ টাকা খরচ করে ১০ কেজি চাল কিনে কোন দরিদ্র মানুষকে দেয়ার কথা ভেবেছেন কখনো? অথচ আপনার পা ঘষে দিলেই আপনি ৫০০ টাকা পার্লারে দিয়ে আসেন। কি আশচর্য! আপনি যখন পা দলাই মলাই করে নিচ্ছে তখন কোথাও কোন সনাবরু না খেতে পেয়ে গলায় দড়ি দিচ্ছে।

আপনি যখন সেজে গুজে বন্ধু বান্ধবের সাথে নবীন বরণ বা ফেয়ারওয়েল এ নাচানাচি করছেন তখন আপনার বোন আফিয়া সিদ্দিকা/ফাতিমেকে প্রতি রাতে ১০ জন মার্কিন সৈন্য ধর্ষন করছে।RAPE. কখনো এদের জন্য আপনার চোখে পানি এসেছে? একবার চিন্তা করুন তো, আপনাকে বানরের মত খঁচায় রাখা হয়েছে যেখানে আপনি সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারেন না, আপনার গায়ে কাপড় পর্যন্ত রাখা হয় নি, আপনার সামনে আপনার দুই সন্তানকে জবাই করা হয়েছে,আপনার একটা একটা করে চুল টেনে টেনে উপড়ে ফেলা হয়েছে, আপনার পেটে গুলি করা হয়েছে, ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়েছে, তার সাথে সাথে যখন তখন আপনাকে ধর্ষন করা হচ্ছে। কি বেশি বলে ফেললাম???

Source: প্রাণ ঝরনা, http://www.sonarbangladesh.com 

Sunday, June 26, 2011

সেবার নামে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে কুরিয়ার সার্ভিসে

সেবার নামে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে কুরিয়ার সার্ভিসে* নথি ও মালামাল হারিয়ে যাচ্ছে
* ঠিক সময়ে পৌঁছায় না ডাক
* ক্ষতিপূরণ পান না গ্রাহকরা
শেখ শাফায়াত হোসেন ডাকবিভাগের ধীরগতি ও ভোগান্তির ফলে মানুষ নির্ভরশীল হচ্ছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চিঠি ও জিনিসপত্রের পাশাপাশি টাকাও পাঠানো হচ্ছে এই সেবা খাতের মাধ্যমে। প্রায় তিন যুগ আগে চালু হওয়া এ সেবা খাতে কম্পানির সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে বিনিয়োগও; কিন্তু নির্ভরশীলতা বাড়ার উল্টোপথে কমতে থাকছে সেবার মান। গ্রাহক ভোগান্তি বেড়েই চলছে কুরিয়ার সার্ভিসে। ডাকবিভাগের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে কয়েক গুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে গ্রাহকদের এ সেবা পেতে। তার পরও থাকছে নানা ঝুঁকি। গুরুত্বপূর্ণ নথি, চিঠি ও মালামাল হারিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে ক্ষতিপূরণ পান না কেউ। অনেকেই অভিযোগ করছেন, ঠিক সময়ে ডাক না পেঁৗছানোর। আছে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার বিড়ম্বনাও।
বাংলাদেশ কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (সিএসএবি)র তালিকাভুকক্ত ৪২টি দেশি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে দেশে ডাক ও পণ্য পরিবহন সেবা দিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শাখা ছাড়া অন্য সব শাখার অফিস ব্যবস্থাপনা খুব একটা ভালো নয়। প্রতিটি জেলা শহরের সদর থানার মার্কেটে ছোট আকারের দোকানে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেন, কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা। স্বল্পপরিসরে খুবই অব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে এ কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। ২৮ বছর আগে চালু হওয়া প্রথম দিকের অনেক প্রতিষ্ঠানই আর আগের মতো ব্যবসা করতে পারছে না।
সিএসএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসা রেজা কালের কণ্ঠকে জানান, দেশের অগ্রবর্তী কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুন্দরবন, পাইওনিয়র, ড্রিমল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ও এসএ পরিবহন লি. শুরু থেকে বেশ ভালো সেবা দিয়ে আসছে। প্রথমদিকে সেবার মান কিছুটা ভালো হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একটু বেশি খরচ হলেও দ্রুত প্রাপ্তির নিশ্চয়তায় পণ্য ও অর্থ প্রেরণের জন্য অধিকাংশ লোকই এসব প্রতিষ্ঠানে ভিড় করে।
শহরের অধিকাংশ ছাত্র দ্রুত টাকা পেতে এসব কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া শহরে কর্মরত স্বল্পআয়ের অনেক শ্রমজীবী মানুষ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রামের স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাতে বেশ সচ্ছন্দ বোধ করে। যখন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কদর বাড়তে শুরু করল, ঠিক তখনই এসব কুরিয়ার সার্ভিসের সেবার মান বেশ কমতে শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে খোদ এর সেবা গ্রহিতারা। প্রথম সারির কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিসের বিভিন্ন শাখায় সরেজমিন ঘুরে এসব অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড
কুরিয়ার সার্ভিসের অভিযোগ কেন্দ্রে ঘর্মাক্ত অবস্থায় ছুটে এসেছিলেন একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মচারী রস্তম আলী। মে মাসের ২৯ তারিখে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মিরপুরের একটি ঠিকানায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও নথি প্রাপকের কাছে না পেঁৗছলে তিনি মতিঝিলে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান শাখায় নিজেই এসেছিলেন খোঁজ নিতে। এসে জানতে পারলেন, নথির কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এখন তাকে প্রায় নিয়মিতই যেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ওই কুরিয়ার সার্ভিসের শাখায়।
অভিযোগ কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মকর্তারা এক দিনের মধ্যে নথি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে পরের দিন ওই অফিসে আবার যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে রস্তম আলী জানান। গত ১৫ জুন দুপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের প্রধান শাখায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ কেন্দ্রে আটজন লোক বসে আসেন। তাঁদের কারো অভিযোগ নথি প্রাপকের হাতে পেঁৗছেনি, আবার কেউ পার্সেল পাচ্ছেন না। এক ঘণ্টা অভিযোগ কেন্দ্রে বসে দেখা যায় প্রায় ১৫ গ্রাহক অভিযোগ দাখিল করেছেন। ফোনে আরো ১০ থেকে ১২ গ্রাহককে অভিযোগ দিতে শোনা যায়।
এ ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের ছাত্র তোফায়েল আহমেদ। সম্মান পাসের পর একটি ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। আবেদনপত্রে গ্রামের ঠিকানা উল্লেখ থাকায় ইন্টারভিউ কার্ডটি তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। তাঁর বাবা গত ১২ জুন টাঙ্গাইলে অবস্থিত সুন্দরবন কুরিয়ারের একটি শাখা থেকে তোফায়েলে আহমেদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ঠিকানায় কার্ডটি কুরিয়ারে পাঠান; কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্ড হাতে না পেয়ে তিনি নিজেই এসেছেন সংশ্লিষ্ট ওই কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান শাখায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর ১৯ জুন সাক্ষাৎকারের তারিখ; কিন্তু তিনি তখনো কার্ড হাতে পাননি। এ ব্যাপারে অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তরা তাঁকে এক দিনের মধ্যে তাঁর কার্ডটি পেঁৗছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান।
এমনি আরো অভিযোগ নিয়ে আসেন ইউনিটুলসের এক কর্মচারী। দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অভিযোগ কেন্দ্র থেকে তাঁকে জানানো হয় যশোরের ডাক সেদিন দেরিতে এসেছে। তাই তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে আরো অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ওই কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান শাখায়।
এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা সবাই মিটিংয়ে আছেন বলে দায়িত্বরত অফিস পিয়ন জানায়। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের প্রশাসন বিভাগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, এই সেবা কেন্দ্রটি পরিচালনার সঙ্গে ১০ হাজারের বেশি লোক নিয়োজিত। সারা দেশে পাঁচ শতাধিক বুথ থেকে গ্রাহককে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে কিছু অভিযোগ তো আসতেই পারে। তবে নিজেদের দোষ স্বীকার না করে গ্রাহকদের দায়ী করে বলেন, 'অধিকাংশ সময়ে গ্রাহকের ভুলের কারণে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।'
কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস
নথি পাঠানোর কথা ছিল ঢাকার জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে; কিন্তু চলে গেছে চট্টগ্রামে। গুরুত্বপূর্ণ নথি ঠিক সময়ে না পেঁৗছায় এখন বিপাকে আছেন জনতা ব্যাংকের কল্যাণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস আকন্দ (রসিদ নম্বর-১২৯০৪৪)। নথিটি শুধু চট্টগ্রামে চলে যায়নি, সেটি ফেরত পেতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই কর্মকর্তা।
সরেজমিনে ১ জুন বেলা ২টার দিকে রাজধানীর আরামবাগে অবস্থিত কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ের অভিযোগকারীদের ভিড় দেখা যায়। এক ঘণ্টা ওই অভিযোগ কেন্দ্রে বসে থেকে দেখা যায়, পাঁচ গ্রাহক অভিযোগ নিয়ে আসেন। সবারই অভিযোগ নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার অনেক পরও ডকুমেন্ট তাঁদের হাতে পেঁৗছেনি। এর মধ্যে একজনের নাম মো. মহসীন আলী। তিনি সবুজবাগ থানার বাসাবোর উত্তর মুগদা ঝিলপাড়ের কন্টিনেন্টালের একটি শাখা থেকে গত ১৬ মে যশোরের উদ্দেশে দরকারি কিছু নথি কুরিয়ারে পাঠান; কিন্তু কুরিয়ার সার্ভিসের ভুলে প্রেরকের কাছেই আবার ফেরত আসে। পরবর্তী সময়ে মহসীন আলী (নথির রসিদ নম্বর ৪১৯১৩৭) ১৮ মে আবার প্রাপকের উদ্দেশে মুগদা মদিনাবাগ অফিস থেকে পুনরায় ডকুমেন্টটি কুরিয়ার করেন। ২৯ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রাপক অবশেষে যশোর থেকে মহসীন আলীর কাছে ফোন করলে তিনি কন্টিনেন্টালের প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেন; কিন্তু তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য পরে আসতে বলে। পরের দিনও সেই ডকুমেন্টটি প্রাপকের কাছে না পেঁৗছলে তিনি অভিযোগ কেন্দ্রে এসে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করে এর প্রতিকার দাবি করেন।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টালের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন ভুল স্বীকার করে বলেন, এটা কিভাবে হলো, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে এক দিনের মধ্যেই এই ডকুমেন্টটি প্রাপককে আনিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এসএ পরিবহন লিমিটেড
শহরের যে পরিমাণ মানুষ এই সেবার ওপর নির্ভরশীল সে অনুযায়ী প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না কুরিয়ার সার্ভিস। এমনই অভিযোগ পাওয়া যায় এই এসএ পরিবহনের দুটি শাখায় গিয়ে। টাকা তুলতে এসে দীর্ঘক্ষণ বেশ লম্বা লাইন দেখা যায় গ্রাহকদের। এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলছেন অনেকই। ঢাকার এ্যালিফেন্ট রোডের এসএ পরিবহন লিমিটেডের একটি শাখায় টাকা তুলতে এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র নাজমুস সাদাত। পড়া- লেখার খরচ বাবদ গ্রাম থেকে তাঁর বাবা প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা পাঠান এই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। টাকা তুলতে এসে প্রতিবারই এ-রকমভাবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন বলে জানান তিনি। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখানে যে পরিমাণ গ্রাহক সেবা নিতে আসে, সে পরিমাণ সেবা দিতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক নয় প্রতিষ্ঠানটি।'
কাকরাইলে অবস্থিত এসএ পরিবহনের প্রধান শাখায় গিয়ে দেখা গেল সেখানেও প্রচণ্ড ভিড়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো পার্সেল এই শাখা থেকেই গ্রাহকদের কাছে পেঁৗছে দেওয়া হয়। সারা দেশ থেকে আসা এই পার্সেলগুলো এখানে এনে স্তূপ করে রাখা হয় একটি জায়গায়। গাদাগাদি করে রাখার কারণে অনেক সময় হালকা পার্সেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
গত ৩১ মে দুপুরে এই শাখা থেকে পার্সেল ছাড় করাতে এসেছিলেন আলমগীর হোসেন নামে এক চাকরিজীবী। তিনি জানান, দিনাজপুর থেকে পাঠানো লিচুর একটি ঝুড়ি হাতে পাওয়ার পর দেখতে পান ঝুড়ির ওপরের কিছু অংশ খোলা। সেখানে কিছু লিচু নেই বলে তাঁর ধারণা। খোয়া যাওয়া লিচুর পরিমাণ খুবই কম বলে তিনি অভিযোগ করতে চান না বলে কালের কণ্ঠকে জানান।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এমন আরেক গ্রাহক শরিফুল ইসলাম জানালেন, তাঁর পার্সেলটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য ওই শাখার তিন-চারজন কর্মকর্তার কাছে গেলে তাঁরা তাঁকে কিছুক্ষণের কথা বলে প্রায় দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এব ্যাপারে এসএ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম বলেন, 'এই সেবা প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকে সরাসরি সেবা দিয়ে থাকে। নিজেদের পরিবহনে করে সারা দেশ থেকে পার্সেল এনে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এত ভালো সেবা আমরাই দিচ্ছি।' তবে তিনি প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা স্বীকার করে বলেন, 'আমরা সেবার মান ভালো করার চেষ্টা করছি।'
দেশের কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলা মোবাইল ফোন নম্বরের ভিত্তিতে অর্থ ও পণ্য হস্তান্তর করে থাকে। প্রথমদিকে মোবাইল ফোন নম্বরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গ্রাহককে প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট নম্বরে কল করতে হতো। তখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহক শনাক্ত করে অর্থ বা পণ্য হস্তান্তর করত কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। গত বছর থেকে নম্বর সত্যায়নের জন্য এই নিয়ম বদলে কল রিসিভ করে কেটে দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এর জন্য বাড়তি ফোনকলের টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে গ্রাহককে। এসএ পরিবহনের প্রধান শাখায় প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার গ্রাহক সেবা নিতে আসেন। নতুন এই নিয়মের কারণে একটি শাখায়ই এই দুই হাজার গ্রাহককে ফোনকল বাবদ দুই থেকে তিন হাজার টাকা মোবাইল অপারেটর কম্পানিকে দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিএসএবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই নিয়ম অনুসরণ করছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। তবে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কম বয়সী শিক্ষার্থীসহ অনেক গ্রাহক আছে, যারা এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান করে থাকে। তাদের সবার পরিচয়পত্র নেই। এ কারণে এখনো পরিচয়পত্রের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এসএ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম।
অনেক দেশেই খোয়া যাওয়া পণ্য বা অর্থের সমপরিমাণ জরিমানার বিধান রয়েছে। ডিএচএল, ফিডেঙ্সহ আন্তর্জাতিকমানের কুরিয়ার সার্ভিস কম্পানিগুলো সুনাম রক্ষায় গ্রাহদের বীমাকৃত অর্থ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে সিএসএবির সভাপতি ও রেইনবো কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তানভিরুল হক বলেন, 'আমাদের দেশে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো বিধান নেই'। তবে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় রাখতে দেশের কুরিয়ার সার্ভিস কম্পানিগুলো গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এ সমস্যার সুরাহা করে আসছে বলে তিনি দাবি করেন।
 Source: http://www.kalerkantho.com 
২৬ জুন ২০১১ 

Monday, March 28, 2011

নকল টাকা চেনার উপায়

নকল টাকা চেনার উপায়

নকল টাকা চিনতে না পারায় অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। নকল টাকা চেনার উপায় জানাচ্ছেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বুয়েট শাখার অফিসার (ক্যাশ) ও যুগ্ম জিম্মাদার মো. আবদুর রাজ্জাক মারজান ইমু * আসল নোটে 'বাঘের মাথা' এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের 'মনোগ্রাম'-এর জলছাপ রয়েছে। ব্যাংকের মনোগ্রামটি বাঘের মাথার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। উভয়ই আলোর বিপরীতে দেখা যাবে। নকল নোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের।
* আসল টাকা বিশেষ নিরাপত্তামূলক কালিতে ছাপা, যা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে উঁচু-নিচু বা অসমতল অনুভূত হয়। নকল নোটে হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু বা অসমতল মনে হবে না।
* আসল ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে বিশেষ নিরাপত্তামূলক কালিতে ছাপা যথাক্রমে তিনটি, চারটি ও পাঁচটি ছোট বৃত্ত রয়েছে_যা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে সহজেই উঁচু-নিচু বা অসমতল অনুভূত হয়। নকল নোটে মনে হবে না।
* আসল নোটে টাকার অঙ্ক লিখতে রং পরিবর্তনশীল কালি ব্যবহার করা হয়েছে। লেখার ওপর সরাসরি তাকালে ম্যাজেন্টা বা লালচে এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ বা সোনালি রং দেখা যাবে। নকল বা জাল নোটে দেখা যাবে না।
* ডান ও বাঁ প্রান্তে ফুলের নকশা রয়েছে আসল নোটে। নোটের উভয় পিঠে হুবহু একই স্থানে ছাপানো। যা আলোর বিপরীতে দেখা যাবে। নকল নোটে উভয় দিকে একই নকশা মেলানো বেশ কঠিন।
* আসল নোটের উভয় দিকে একই স্থানে স্বচ্ছভাবে ইংরেজিতে 'ই' আকৃতি আছে, যা আলোর বিপরীতে হুবহু একই জায়গায় ছাপা দেখা যাবে। নকল টাকায় এ রকম ছাপা কঠিন।
* টাকার গায়ে ইংরেজিতে 'Bangladesh Bank' লেখাটি অতি ক্ষুদ্র আকারে বারবার লেখা আছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। আতশি কাচ দিয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে। নকল টাকায় আতশি কাচ দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে। আসল টাকার মতো এত ক্ষুদ্র 'Bangladesh Bank' লেখাটি পাওয়া যাবে না।
* আসল নোটে চার মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতাটি সামনের দিকে ফোঁড় কেটে সেলাই করার মতো রয়েছে। কিন্তু পেছনের দিকে সুতাটি কাগজের ভেতরে অবস্থিত। নোটটি নাড়াচাড়া করলে সুতায় বিভিন্ন রং দেখা যাবে। আলোর বিপরীতে উভয় দিক থেকে সুতাটিতে 'বাংলাদেশ' লেখা শব্দটি উল্টা ও সোজাভাবে সম্পূর্ণ পড়া যাবে। নকল নোটে এরূপ হবে না।
* আসল নোটে চারদিকে কোনো সাদা বর্ডার না রেখে বিশেষ ডিজাইনে ছাপানো। ফলে নোটটি মোড়ানো হলে বিপরীত দিকের প্রান্তের নকশা মিলে পূর্ণাঙ্গ রূপ নেবে। নকল নোটে এ রকম মেলানো বেশ কঠিন।
 Source: http://www.kalerkantho.com

Tuesday, February 22, 2011

এস-এ পরিবহন সহ অন্যান্য কুরিয়ার সার্ভিসের মানি ট্রান্জেকশান সুবিধা প্রসন্গে...

 এস-এ পরিবহন সহ অন্যান্য কুরিয়ার সার্ভিসের মানি ট্রান্জেকশান সুবিধা প্রসন্গে...

এস-এ পরিবহন দেশের বৃহৎ একটা কুরিয়ার সার্ভিস সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান। এই সংস্হার আদ্যপান্ত জানা বা তাগো ইতিহাস নিয়া টানাটানি করার কোন ইচ্ছা আমার নাই। আমার আগ্রহ শুধুমাত্র এই কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের মানি ট্রান্সফার সার্ভিসটা নিয়া।

কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ী এস-এ পরিবহন অফিসে একটা প্যাকেজ সংগ্রহের জন্য দীর্ঘক্ষন একটা ভুল কিউতে দাড়ানো আছিলাম। দাড়ানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ বুঝতে পারলাম এইখান থাইকা সকলে টাকা কালেক্ট করে। আমার কাউন্টার এইটা না। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়াইয়া মুটামুটি ভাবে বিশ্মিত হইলাম উক্ত কাউন্টারের কার্যক্রম দেইখা। কুরিয়ার সার্ভিস তো নয়, যেন এক ব্যাংকিং সার্ভিস খুইলা বসছে। চারিদিকে টাকার ছড়াছড়ি। এই দিতাছে, এই নিতাছে। ফোন করো, ফোন ধরো, টাকা দেও, টাকা নেও....বিশাল হুলুস্হুল ব্যাপার।


প্রথমে একটু প্যা কেজ সার্ভিসের সিস্টেম নিয়া আলাপ করি। এস-এ পরিবহনে যে কোন প্যাকেজ পাঠাইলে সেইটাতে প্রাপকের সম্পূর্ন ঠিকানা না দিলেও চলে। শুধুমাত্র প্রাপকের নাম, এস-এ পরিবহন অফিসের এরিয়া আর মোবাইল নাম্বার দিলেই যথেষ্ট।


এতেই এস-এ পরিবহনে মাধ্যমে আমার কাছে কুরিয়ারটা পৌছে যাবে। সিলেটের এস-এ পরিবহন থাইকা আমারে ফোন দিয়া কইবো আমার একটা কুরিয়ার আছে কালেক্ট করার জন্য। আমি তাগো অফিসে গেলে তারা আমারে তাগো একটা মোবাইলে ফোন করতে কইবো আমার মোবাইল নাম্বার চেক করার জন্য। এতেই হইবো। আমার মোবাইল নাম্বার অন্য কারো কাছে থাকলেই হইবো। এইখানে আইডি হইলো মোবাইল নাম্বার। আমি সামী গেলাম না রহিম গেলাম না করিম গেলাম এইটার কোন আইডিন্টিফিকেশান চ্যাকিং নাই। কি বিচিত্র সিস্টেম!!!


যাই হউক, এইবার আসি মানি ট্রান্সফারের কথায়। টাকা আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও একই অবস্হা। হাজার টাকা, লক্ষ টাকা যাই হউক প্রাকের নাম আর ফোন নাম্বার হইলেই চলে। অন্য কোন পরিচয়পত্র বা ডকুমেন্টেরও প্রয়োজন হয়না। শুধু নাম আর ফোন নাম্বার চেক কইরাই প্রাপককে টাকা দিয়া দেয়া হয়। মাঝে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্টানটি হাজারে ৮ টাকা দরে একটা সার্ভিস চার্জ দাবী করে। হাজার হোক, লক্ষ হউক কোন বাচবিচার নাই। মাঝে প্রাপক কে ছিনতাই কইরা যদি তার মোবাইল নিয়া ছিনতাইকারী কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে গিয়া বলে সে টাকার দাবীদার তবে মোবাইল নাম্বার চ্যাক কইরা, প্রেরককে একটা ফোন কইরা শিউর হইয়া ছিনতাইকারীরেই টাকাটা দেয়া হবে বইলাই গণ্য হয়। প্রাপক কে, কার কাছ থাইকা কিভাবে কেন টাকা নিতেছে এইটার কোন ফার্দার তদন্তের কোন সিস্টেম এইখানে নাই। কোন সাক্ষী নাই, প্রমান নাই, প্রপার কোন ডকুমেন্ট নাই অথচ লক্ষ টাকা আদান-প্রদান হইয়া গেল, আমাগো বিচিত্র এই দেশেই এইটা সম্ভব। আর কোথাও না। আর এইটাই সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি। থু: .............


সরকার এইখানে বিরাট রেগুলেশান করতে পারে। অন্তত সরকার একটা নীতিমালা নির্ধারন কইরা দিতে পারে। সরকার কুরিয়া সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলা আদান-প্রদান মনিটরিং করতে পারে। তাগো ডেটা কালেক্ট করতে পারে। কিন্তু সরকার থাইকাও কোন রেগুলেশান নাই, নীতিমালা নাই, মনিটরিং নাই।


সরকার টাকা'র এমাউন্টে কোন ম্যাক্সিমাম ভ্যালু নির্ধারন কইরা দিতে পারে। ৫০০০, ১০০০০ বা ৫০০০০ যাই হউক এর বেশী টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো বা গ্রহন করা যাইবোনা। টাকা পাঠানোর সময় কুরিয়ার সার্ভিস সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলা প্রেরকের আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি রাখতে পারে, ছবি তুইলাও রাখতে পারে। প্রেরিত স্হান থাইকা টাকা তুলার সময় প্রাপকের আইডি অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি এবং সাথে ছবি তুইলাও রাখতে পারে। কেউ কি সিস্টেমটার মিসইউজ করতেছে কিনা, কেউ কি কাউরে ব্ল্যাকমেইল করতেছে কিনা, কেউ কাউরে কিডন্যাপ কইরা মুক্তিপন আদায় করতেছে কিনা, কেউ অবৈধ টাকা এক জায়গা থাইকা আরেক জায়গায় পাচার করতেছে কিনা এইসব পরবর্তীতে জানার জন্য এইসব আইডি ফটোকপি বা ছবি রাখা খুবই জরুরী। ফার্দার তদন্ত কামে এইটা বিরাট সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।


কিন্তু আমাগো আবাল এই দ্যাশে এইসব কিছুই হয়না। কি এক বাল-ছাল মোবাইল নাম্বার আর নাম হইলেই টাকা তোলা যায়। ভুয়া মোবাইল নাম্বার, ভুয়া নাম হইলেও কোন সমস্যা নাই। প্রাপক টাকাটা কেন নিতেছে, কারো মুক্তিপন আদায়ের যের হিসাবে তার মায়ের অপারেশানের জন্য না সিনেমার কোন নায়িকার সাথে রতিক্রিয়া করার জন্য তা জানার কোন ফার্দার প্রসেস এই সিস্টেমে নাই। প্রাপক টাকাটা নেয়ার পর যদি মোবাইলের সিমটা বন্ধ কইরা দেয় বা সিমটা যদি ভুয়া নাম ঠিকানার হয় তবে তারে ট্রেস করার আর কোন পদ্ধতি এইখানে নাই। ন্যাশনাল আইডি অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি থাকলে অথবা টাকা নেওনের সময় ছবি তুইলা রাখলে পরে কোন তদন্তের স্বার্থে তা কামে লাগতে পারে। কিন্তু এইরম হইবার কোন সিস্টেম নাই। কারন সরকার থাইকা কোন নীতিমালা নাই, কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলার কোন গরজ নাই। সকল গরজ এই ভুক্তভোগী আবালস্য আবাল জনগনের।


ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা আদানপ্রদান করলে একাউন্টের জের ধরে তার পেছনের মানুষটার কাছে পৌছানো যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং সম্ভব। কিন্তু শুধু একটি নাম এবং মোবাইল নাম্বারের জের ধরে কাউকে ট্রেস করা মরার এই দেশে খড়ের গাদায় সুচ খোজা নয়, রীতিমতো অসম্ভব। টাকা ট্রান্সফার হউক, সহজ উপায়েই হউক, কিন্তু মিনিমাম কিছু পরিচয় সূত্র রেখেই তা হউক। যেন পদ্ধতির মিসইউজ না হয়। যেন মিসইউজ হলে পেছনের ব্যক্তিগুলোকে সহজেই খুজে বের করা যায়। কেউ কাউকে ভয় দেখিয়ে, বা ঠগবাজী করে, বা কাউকে জিন্মি করে কেউ যেন অল্প সময়ে খুব সহজেই এস-এ পরিবহন বা অন্য কোন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতে পারেনা। টাকা হাতিয়ে নিলেও যেন পরবর্তীতে তার কাছে পৌছানো যায় অন্তত তার মুখে একবার হলেও একদলা থুতু নিক্ষেপের জন্য। মোবাইল নাম্বার এবং নাম কোন মানুষের পরিচয় হতে পারেনা। এসব খুবই সহজলভ্য। ১০০ টাকা হলেই একটি সিম পাওয়া যায়। নামের জন্য তো ১ পয়সাও খরচ করতে হয় না। ন্যাশনাল আইডি, পাসপোর্টের ফটোকপি এবং ছবি তুলে রেখেই টাকা আদান-প্রদান সেবা দান করাই আমাদের কাম্য।


আমার এই লেখা সরকারের কেউ পড়বোনা বইলাই বোধ হয়। কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলার কেউও পড়বো কিনা সন্দেহ। পড়লেও তারা এইটা নিয়া কোন মাথা ঘামাইবোনা। আমার পিন্ডি চটকাইতে চাইবো। কারন মনিটরিং বসাইলেই তাগো ব্যাবসাতে ডাউনফ্লো শুরু হইবো। টাকায় ম্যাক্সিমাম এমাউন্ট নির্ধারন করলে তাগো ক্যাশ ইনফ্লো কইমা যাইবো। এই লেখাটা পড়বো আমার মতোই আবালস্য আবাল কিছু জনগন যারা ব্লগার নামে পরিচিত। আমি তাগোর কাছেই বিষয়টা তুইলা ধরলাম এই আশায় যে হয়তো এইখানকার কেউ ব্যাপারটা নিয়া ফার্দার আলোচনা করবেন এবং এক পর্যায়ে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করবে।