Wednesday, November 28, 2012

বেসরকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান

বেসরকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান

 

এলিট ফোর্স (এলিট সিকিউরিটি সার্ভিস)
এলিট টাওয়ার, বাড়ী-৩ রোড-৬/এ
ব্লক-জে, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
ফোন: ৮৮২৬৬৩৬, ৮৮২৬৬৮৬, ৮৮২৬৬৮৬
ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৮৮২৬৫৭৫

সিকিউরেক্স (প্রাঃ) লিমিটেড
বাড়ী-৭,  রোড-৭, ব্লক-জে
বারিধারা, ঢাকা-১২১২। বাংলাদেশ।
ফোন: ৮৮২১২৩০,৮৮২৭৪৬৮,৮৮১৫২৪০
সেলস এন্ড মার্কেটিং : ৮৮১৫০৬৭ ,০১৫৫২৫৭১০৮৭
সিআরএস : ৯৮৮০৮১৪  
এটিএম সার্ভিস : ৯৮৯৪৬২১
টেকনিক্যাল ডিভিশন : ৮৭৫৩৪১৪,৮৭৫৩৪১৬
Email: tq@optimaxbd.net  

সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড
বাড়ী-১১(নিচতলা),  রোড-১,
ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫। বাংলাদেশ।
ফোন: ৯৬৬১৫৭৭, ৯৬৬৮৮০০, ৯৬৬২২৪৬, ৯৬৬২২৪৭,
৯৬৬০৯১৯, ৯৬৬০৯০১, ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৮৬২৫৪৭০

আইসিইএল প্রাইভেট লিমিটেড
বাড়ী-১৩/১,  রোড-৪,
ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫। বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৯৬৬০৮২৩, +৮৮-০২-৯৬৬৯৭১৫
ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬৬৪০৭৭


Wednesday, November 21, 2012

আগুন লাগলে কী করবেন

আগুন লাগলে কী করবেন 

প্রতিবছর অগ্নিকাণ্ডের কারণে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে, হারাচ্ছে অমূল্য সব জীবন। আগুন যাতে না লাগে সে জন্য তো সতর্ক থাকতেই হবে। আবার আগুন লেগে গেলেও কিছু সাধারণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগুন লাগার কারণ ও উৎস

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ জানান, আগুন লাগার মূল কারণ অসাবধানতা। অসাবধানতার সঙ্গে যোগ হয় অজ্ঞতা। আগুন লাগার বড় ধরনের উৎসগুলো হচ্ছে জ্বলন্ত চুলা, জ্বলন্ত সিগারেট, জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি, খোলা বাতি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, গরম ময়লা, আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু, ছেলেমেয়েদের আগুন নিয়ে খেলা বা রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া মেশিনারিজ, আবর্জনায় গ্যাস সৃষ্টি হয়ে, মেশিনের ঘর্ষণ, বজ্রপাত, গ্যাসের সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরণ, সূর্যরশ্মির প্রতিফলন থেকেও আগুন লেগে যেতে পারে।

সতর্কতা

আগুন যাতে না লাগে সে জন্য বসতবাড়ি, অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, কারখানায় অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। এ ছাড়া রান্নার পর চুলা নিভিয়ে ফেলুন। খোলা বাতির ব্যবহার পরিহার করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগ পর্যন্ত আগুন নেভানোর জন্য নিজেরা চেষ্টা করুন। বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো মাসে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করতে পারেন, প্রয়োজন হলে পুরোনো সংযোগ পরিবর্তন করে নিতে হবে। রাসায়নিক ও জ্বালানি পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধান হবেন। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন, না হলে আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিল্প-কারখানায় প্রচুর পানি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখতে হবে। সম্ভব হলে অগ্নিকান্ড মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত একজন লোক রাখতে হবে। বড় শিল্প-কারখানায় প্রতি মাসে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় অগ্নি নির্বাপণ মহড়ার ব্যবস্থাও করতে পারেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেবেন। ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর চোখের সামনে দেয়ালে লিখে রাখতে পারেন, যাতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে খবর দিতে পারেন। আপনার শরীরে বা পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে দৌড় না দিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিন। এতে আগুন নিভে যাবে। বাসায় বা অফিসে যেখানেই আগুন লাগুক না কেন, ঘাবড়ে যাবেন না। বরং মাথা ঠান্ডা রেখে কী করতে হবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। প্রতিষ্ঠানের সব জায়গা আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে। আগুন যাতে না লাগে তার জন্য প্রতিষ্ঠানের কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নষ্ট করে ফেলুন। কারণ, এগুলো থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চুলার ওপর ভেজা লাকড়ি বা কাপড় শুকাতে দেবেন না এবং ইস্তিরিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ রেখে কখনো যাবেন না। যেকোনো সময় এসব থেকে আগুন লেগে যেতে পারে।

লোক অপসারণ পদ্ধতি

বাড়িতে বা অফিসে যদি আগুন লাগে, ফায়ার সার্ভিসের জন্য বসে না থেকে নিজেরা লোক অপসারণ শুরু করে দিতে পারেন। আর আপনি নিজেও যদি আক্রান্ত হয়ে পড়েন তবে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

- আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করা যাবে না। যেকোনো সময় লিফট বন্ধ হয়ে বিপদে পড়তে পারেন।


- ছাদে না উঠে সবাইকে নিচের দিকে নামতে হবে।


- নামার সময় জরুরি নির্গমনের পথ ব্যবহার করতে হবে।


- ওপর থেকে নিচে লাফ দেওয়া যাবে না।


- জরুরি অবস্থায় নিরাপত্তাকর্মীদের টর্চ ব্যবহার করতে হবে।


- আগুন যেহেতু ঊর্ধ্বমুখী, তাই প্রথমে যে তলায় আগুন সে তলা এবং পর্যায়ক্রমে ওপরের ও সর্বশেষে নিচের তলার লোক নামাতে হবে।


- আগুনে আক্রান্ত লোকজন উদ্ধারে অবশ্যই প্রতিবন্ধী, শিশু ও সন্তানসম্ভবা নারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এরপর বৃদ্ধ লোক ও মহিলাদের উদ্ধার করতে হবে। তবে প্রতিটি জীবনই মূল্যবান।


আগুনে পুড়ে গেলে করণীয়

- আক্রান্ত ব্যক্তিকে এমনভাবে শুইয়ে দিতে হবে, যাতে তার পুড়ে যাওয়া অংশ খোলা থাকে। তারপর জগ বা মগে ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি এনে পোড়া জায়গায় ঢালতে হবে, যতক্ষণ না তার জ্বালা-যন্ত্রণা কমে এবং ক্ষতস্থানের গরমভাবও কমে না যায়।

- আক্রান্ত স্থানটি ফুলে যাওয়ার আগে ঘড়ি বেল্ট, আংটি (যদি থাকে), কাপড় খুলে ফেলবেন।


- পুড়ে যাওয়া অংশে যদি কাপড় লেগে থাকে তবে সেটা না টেনে বাকি কাপড় কেটে সরিয়ে ফেলুন।


- পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান হালকা করে বেঁধে দিতে হবে।


- যদি মুখে কোথাও পুড়ে যায় তবে পানি দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে যতক্ষণ না ক্ষতস্থান ঠান্ডা হয় ও ব্যথা কমে।


- মুখ ঢাকার কোনো প্রয়োজন নেই। পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাপড় দিয়ে এমনভাবে মাস্ক তৈরি করতে হবে, যাতে নাক, মুখ ও চোখ খোলা রেখে মুখ ঢাকা যায়।


- পোড়া জায়গা দিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পদার্থ বের হয়ে যায়, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি শকে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ তার রক্তচাপ কমে যায়, হূৎপিণ্ডের স্পন্দন কমে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। 

Friday, November 9, 2012

অনলাইন ব্যাংকিং - নিরাপত্তার কিছু দিক

অনলাইন ব্যাংকিং - নিরাপত্তার কিছু দিক

- আফরোজ_জাহান

অনলাইন ব্যাংকিং আপনার আর্থিক লেনদেনকে অনেক সহজ করে দেয়। আপনি আপনার ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করবেন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজগুলো অফিসে বা ঘরে বসেই সারতে পারবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে ও ঝামেলা কমে যাবে। ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও এড়ানো যায় সহজেই। আপনি স্ট্যানডিং অর্ডারগুলো সেটআপ করতে পারবেন, ব্যাবসায়িক লেনদেনের জন্য অন্য লোকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন, চেকবুকে অর্ডার করতে পারবেন। এমনকি সাধারণ লেনদেনের বাইরেও কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে অনলাইন ব্যাংকগুলো। এইজন্যই অনলাইন ব্যাংকগুলো সারা পৃথিবীতে এত জনপ্রিয়। বিশ্বজুড়ে ক্রিমিনালদের আক্রমনের প্রধান লক্ষ্যবস্তও এটি। আমরা আজকে কিছু প্রধান ক্রিমিনাল এ্যাটাক ও কিভাবে প্রতিহত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব।
১. ফিসিং পদ্ধতি- আপনার ব্যাংকে ক্রিমিনালদের একাউন্ট থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে কিন্তু এরা আপনাকে এই মর্মে ব্যাংক থেকে চিঠি পাঠাবে যেন আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার জন্য জরুরী আপনার ব্যাংকিং ডিটেইলস আপডেট করা প্রয়োজন। এরা আপনাকে ভয় দেখিয়ে কাজ উদ্ধার করতে চাবে। ডিটেইল তথ্য হাতে পাওয়ে মাত্র এরা আপনার সব টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাবে।
২. ডিটেইল আপডেট করার জন্য মেইল আসবে তাতে আপনার ব্যাংকের ঠিকানার মতো কাছাকাছি ঠিকানা দেয়া থাকবে। যেমন - http://www.theweebank.com হল আপনার ব্যাংক এড্রেস কিন্তু ওরা কাছাকাছি এড্রেস পাঠাবে যেটি দেখতে হুবহু একই রকম http://www.thevveebank.com। এখানে w' র পরিবর্তে দুটো ভি বসানো আছে যা হঠাৎ করে চোখে পড়বে না।
৩. থার্ডপার্টি কোন সফটওয়্যার পিসির কন্ট্রোল নিয়ে নিতে পারে।
৪. ভাইরাস, স্পাম, স্পাইওয়্যার প্রভৃতি পিসির ক্ষতি করতে পারে।
৫. কম্পিউটার হ্যাক হতে পারে।
৬. ফ্রেমিং - কনফিডেনসিয়াল একসেস কোড চুরি করার এটা আরেক উপায়। এটা ইউজারকে ভুল সারভারে রিডাইরেক্ট করে দেয়। আপনার পিসির হস্ট ফাইল থেকে ডোমেইন নাম চুরি করতে পারে এরা, বা ডোমেইনের নাম রেজ্যুলুশন আছে এমন ডিএনএস সার্ভারে ম্যানিপুলেট করতে পারে।

কাস্টমার রা যখন অনলাইনে নিয়মিত তাদের ব্যালেন্স চেক করেন, নেটে থাকেন তখন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের জন্য কি করবেন:

১. সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করুন ও নিয়মিত আপডেট করে পিসি স্ক্যান করুন। পার্সোনাল ফায়ারওয়াল আপনার পিসিকে অধিক সুরক্ষিত রাখবে। ভাল এন্টিভাইরাস, এন্টস্পাইওয়্যার ব্যবহার করুন।
২. সেনসিটিভ ডাটা কোথাও পাঠাতে হলে প্রোটেক্ট করে পাঠান। আপনার পিন নাম্বার ও দরকারী তথ্য তখনই দিবেন যখন আপনি নিশ্চত যে আপনি ব্যাংকের নিরাপদ ও সুরক্ষিত পেজে আছেন। সেইসাথে ইন্টারনেটে ব্যাংকের ঠিকানাটা ভালভাবে চেক করে নিন।
৩. কার সাথে যোগাযোগ করছেন নিশ্চিত হয়ে নেবেন কোন লেনদেন করার আগে। ব্যাংকের ঠিকানা এড্রেসবারে ভালমতো বানান চেক করে নিন। ব্রাউজার প্রেরিত সিকিউরিটি তথ্য যেমন সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন চেক করুন। ইন্টারনেট সাইটের নাম ও সিকিউরিটি সার্টিফিকেটে দেয়া নাম একই আছে কিনা যাচাই করে নিন। বিশ্বস্ত সার্টিফিকেশন অথরিটি সম্পর্কে ব্যাংকে খোঁজ খবর নিন। যে কোন ধরনের ফিসিং বা পাসওয়ার্ড ফিসিং পরিহার করুন। ফ্রেমিং পরিহার করুন। আপডেটেড এন্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল আপনাকে এই কাজে সাহায্য করবে। তাই ফায়ারওয়াল, পপআপ ব্লকার ও স্পাইওয়্যার ডিটেকটর ইন্স্টল ও ব্যাবহার করতে হবে।
৪. সেনসিটিভ ডাটা ও একসেস মিডিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অবান্ছিত একসেস থেকে পিন, চিপকার্ড প্রোটেক্ট করুন। অনলাইন মানি সার্ভিস বা শপিং করার সময় সতর্ক থাকুন এধরনের ডাটার ব্যাপারে। আপনার হার্ডড্রাইভে পিন নাম্বার, একসেস কোড বা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার সংরক্ষণ করবেন না। শুধুমাত্র ব্যাংকের সাথে লানদেনের সময় পিন, একসেস কোড ইউজ করুন। আপনার একাউন্ট লেনদেনের সময় কোন কারনে ব্লক হয়ে গেলে ব্যাংকে তাড়াতাড়ি জানান।
৫. সবসময় সেফ, সিকিউর ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। ভাল পাসওয়ার্ড ৬ থেকে ৮ কেরেক্টারের হয় ও অক্ষর আর নাম্বারের কম্বিনেশন হয় যাতে সহজে কেউ আন্দাজ করতে না পারে।
৬. ইমেইল ফিল্টার ব্যাবহার করতে হবে স্পাম ব্লক করার জন্য।
৭. না বুঝে কোন সফটওয়্যার বা ইমেইল এটাচমেন্ট ডাউনলোড করা যাবেনা।
৮. আপটুডেট প্রোগ্রাম ভার্সন ব্যবহার করুন। সফটওয়্যার ম্যানুফেকচাররা বাগ ফিক্সিং ও প্যাচেস তৈরী করে নিরাপত্তার জন্য। এগুলো ঠিকমতো ও নিয়মিত ইন্সটল করুন।
৯. আপনার পিসিতে নিয়মিত সিকিউরিটি চেক রান করুন।
১০. ব্রাউজারের সিকিউরিটি সেটিংস এক্টিভেট করুন।
১১. আপনার বর্তমান একাউন্ট টি বাজে বা ভুল লেনদেনের জন্য ইউজ করবেন না।
কিভাবে জরুরী অবস্হা মোকাবেলা করবেন সেটা জেনে নিন:
*কোনরকম সন্দেহ হলে অনলাইন শপিং, ব্যাংকিং ও অন্যান্য বিষয় যেগুলোতে ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য সেনসিটিভ তথ্য দিতে হয় সব বন্ধ করে দিন।
*সিকিউরিটি সফটওয়্যার আপডেট করে কম্পিউটার স্কেন করুন। অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে দিন। তারপর পিসি রিস্টার্ট করুন।
*সত্যি বড় ধরনের কোন ঝামেলা হয়ে গেলে এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিতে হবে ডাটা পুনরুদ্ধারের জন্য।

Source: http://www.somewhereinblog.net 

 

Thursday, November 8, 2012

২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিয়ে ১৫দিনেও পৌঁছে না ডকুমেন্ট\ হারিয়েও যায়

২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিয়ে ১৫দিনেও 
পৌঁছে না ডকুমেন্ট\ হারিয়েও যায়

মিয়া হোসেন : দেশের যে কোন স্থানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং বিদেশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডকুমেন্ট পৌঁছানোর শ্লোগান দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার। কিন্তু বর্তমানে তাদের সেবা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিলেও ১৫ দিনেও পৌঁছে না ডকুমেন্ট। এমন কী অভিযোগ করেও তার কোন সমাধান মিলছে না। ডকুমেন্ট হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের সেবার  বেহাল অবস্থা। ডকুমেন্ট যথাসময়ে পৌঁছে না। আর ডকুমেন্ট না পৌঁছলে তা প্রেরককে ফেরত দেয়া হয় না। কোন ডকুমেন্ট না পৌঁছলে অফিসে অভিযোগ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মগবাজার ওয়ারলেস রেলগেট শাখা থেকে গত ১০ অক্টোবর একটি ডকুমেন্ট ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। যার রশিদ নাম্বার ৪৭০৩৮১। ২৪ ঘণ্টায় ডকুমেন্ট পৌঁছানোর কথা বলা হলেও ১০ দিন পার হয়ে যায়। কিন্তু ডকুমেন্ট পৌঁছে না। অবশেষে তিনি সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রধান কার্যালয়ে ২১ অক্টোবর অভিযোগ করেন। প্রধান কার্যালয়ের অভিযোগ বিভাগ তা খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে আরো কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে যায়। তবু ডকুমেন্ট পৌঁছে না। আবার ওয়ারলেস রেলগেট শাখায় অভিযোগ করা হলে, শাখা থেকে জানানো হয়, আপনার ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ প্রধান কার্যালয়ের লিপিবদ্ধ হয়েছে। যার নাম্বার ৪৯৪, তারিখ ২১ অক্টোবর ১২। আমরা একাধিকবার খোঁজ নিয়েছি, এ বিষয়ে এখন আমাদের কিছু করার নেই। এখনো পর্যন্ত এ ডকুমেন্টের কোন হদিস পায়নি গ্রাহক। এভাবে অনেক গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডকুমেন্ট হারিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, তারা প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ পেয়ে থাকেন। এ সব অভিযোগ খাতায় লিপিবদ্ধ করে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়। প্রাপকের ঠিকানা না পাওয়া গেলে বা প্রাপক গ্রহণ না করলে ডকুমেন্ট প্রেরকের কাছে ফেরত দেয়া হয়। প্রতিদিন এমন ২/৩টি ডকুমেন্ট ফেরত যায় বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের ডিজিএম সাইফুল ইসলাম তপন দৈনিক সংগ্রামকে জানান, এক দেড় মাস আগে আমাদের এ সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন আর এ ধরনের কোন সমস্যা নেই। কোন ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে তিনি জানান।

রেইনবো ফুডের গুণাগুণ ও রাসায়ণিকযুক্ত ফলমূল , শাকসবজি ও মাছ থেকে বাঁচার উপায়

রেইনবো ফুডের গুণাগুণ ও 
রাসায়ণিকযুক্ত ফলমূল , শাকসবজি ও মাছ থেকে বাঁচার উপায়

রংধনুর সাতটি রঙের মত ফলমূল ও শাকসবজিকে সাতটি রঙে ভাগ করা যায়। ফলমূল ও শাকসবজিতে বিদ্যমান রঞ্জক পদার্থের কারণেই  ফলমূল ও শাকসবজি রঙিন হয়ে থাকে । প্রডিজ ফর বেটার হেল্থ ফাউন্ডেশন (পিবিএইচ) এর তথ্য অনুসারে এই রঞ্জক পদার্থগুলো এন্টিঅক্সিডেন্ট ( রোগ প্রতিরোধক) হিসেবে কাজ করে, আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে থাকে এবং ক্যান্সারের  হাত থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে । এই  সাতটি রঙের ফলমূল ও শাকসবজিকে একত্রে রেবো ফু বলে । রেইনবো ফুড আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্য অত্যাবশক। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অল্প করে হলেও সাতটি রঙের ফলমূল ও শাকসবজি রাখা উচিত। কখনই একটি  রঙের ফলমূল ও শাকসবজি উচিত না কারণ এতে দেহের চাহিদা পূরণ হয় না, ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবটা থেকেই যায়।

এবার চলুন জেনে নিই প্রতিটি রঙিন ফলমূল শাকসবজির স্বকীয় গুণাগুণ:

লাল ফলমূল ও শাকসবজি:

ফলমূল ও শাকসবজি মূলত উদ্ভিদে উপস্থিত প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ লাইকোপেন ও এ্যান্থেসায়ানিনের কারণে লাল হয়ে থাকে । টমেটো, তরমুজ, লাল পেয়ারা, লাল পেঁয়াজ, লাল শাকে লাইকোপেন বিদ্যমান যা বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় । স্ট্রবেরী,রাস্পবেরী, ক্র্যানবেরী ,লাল আঙুরে থাকে এ্যান্থেসায়ানিন যা অত্যন্ত শক্তিশালী এন্টিঅক্রিডেন্ট হিসেবে কাঝ করে, আমাদের দেহের কোষগুলোকে রক্ষা করে ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।লাল রঙ হলো শক্তি, কর্মোদ্যোগ ও পরিবর্তনের প্রতীক। যখন আমরা বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন থাকি, দুঃসহ সময় কাটাই তখন খাবার তালিকায় লাল ফলমূল ও শাকসবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত, কারণ লাল ফলমূল ও শাকসবজি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে। আর যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন এবং ঠান্ডায় সংবেদনশীল তাদের জন্য  লাল ফলমূল ও শাকসবজি অপূরণীয়।
হলুদ কমলা ফলমূল শাকসবজি:
হলুদ ও কমলা ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন নামক রঞ্জক পদার্থ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, চামড়ায় বলিরেখা পড়া রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে থাকেন তাদের বয়স সমন্ধীয় ও চোখের সমস্যা ৪৩% কমে যায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৬% কমে যায়।
কমলা রঙ হলো আনন্দ ও সুখের প্রতীক । কমলা রঙের ফলমূল ও শাকসবজি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে যেমন মানসিক প্রশান্তি আনে। অন্যদিকে হলুদ হলো মনের ও বুদ্ধির রঙ। হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি এর মাধ্যমে আমরা বিষণ্ণতা, বাজে চিন্তা ও অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি।নিজেকে নিয়ন্ত্রণেও হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
সবুজ ফলমূল ও শাকসবজি:



সবুজ ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে ক্লোরোফিল, কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে লুটেইন( মটর, কাঁচা মরিচ,শসা ইত্যাদি)। সবুজ ফলমূল ও শাকসবজি এর গুণাগুণ আমরা ছোটবেলায় সবাই অনেক পড়েছি- সবুজ ফলমূল ও শাকসবজিতে  প্রচুর ভিটামিন আছে, এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে । যারা আমার মত পিসিতে বেশিক্ষণ থাকেন বা ক্যামেরায় কাজ করেন তাদের উচিত লুটেইন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খাওয়া, এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা যায়। সবুজ  রঙের ফলমূল ও শাকসবজি দেহের ওজন কমিয়ে দেহকে সুস্থ রাখে।

বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজি:


বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে এ্যান্থেসায়ানিন।আমাদের দেশে বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজি খুব কমই আছে । চিত্রের ফলমূল ও শাকসবজির মাঝে শুধুমাত্র বেগুন আমাদের দেশে পাওয়া যায়।বেগুনী, আসমানী ও নীল ফলমূল ও শাকসবজি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

সাদা ফলমূল ও শাকসবজি:


সাদা ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে এ্যান্থজেন্তেনি । সাদা ফলমূল ও শাকসবজি কোলস্টেরল ও রক্তচাপ কমায়, স্টোমাক ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
এতক্ষণ তো জানলাম ফলমূল ও শাকসবজির নানা গুণাগুণ, কিন্তু আমাদের দেশের যা অবস্থা তাতে রাসায়নিকমুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি পাওয়ার কোন উপায় নেই।ফলে ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে উপকৃত হওয়ার পরিবর্তে আমরা অসুস্ত হয়ে পড়ছি|অধিক ফলন পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে অধিক রাসায়নিক সার।ফলমূল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ইথিলিন ও নানা ধরনের রাসায়নিক স্প্রে।মাছে ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন।

খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্তিতি নানা পরীক্ষার মাধ্যমে করা যায় যেমন-
১। ফরমালডিহাইডের দ্রবণের সঙ্গে ২ সিসি ফিনাইল হাইড্রোজাইন হাইড্রোকোরাইড (১%) এবং ১ সিসি ৫% পটাসিয়াম ফেরিসায়ানাড দিয়ে তারপর ৫ সিসি ঘনীভূত হাইড্রোকোরিক অ্যাসিড মেশালে পুরো দ্রবণ গাঢ় গোলাপী রঙ হয়ে থাকে। একে বলা হয় সেরিভারস্ টেস্ট।
২। ফরমালডিহাইডের হালকা দ্রবণ যেমন মাছে ফরমালিন দেয়া আছে তা ধুয়ে তার পানিতে ১ সিসি সোডিয়াম নাইট্রোপ্রোসাইড মেশালে গাঢ় সবুজ নীল রঙ ধারণ করে। এতে ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে। এ সমস্ত কেমিক্যাল এবং রি-এজেন্ট পাওয়া খুব কঠিন এবং দামও অনেক বেশী।
তাই সহজ এবং সাধারণ একটি পদ্ধতি বের করা যায়। যেমন সন্দেহযুক্ত ফরমালিন মাছ ধুয়ে পানিতে ৩% (ভলিউম) হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশালে ফরমালডিহাইড অক্সিডাইজড হয়ে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তর হয়। ফরমিক এসিড প্রমাণের জন্য সে পানিতে অল্প মারকিউরিক কোরাইড মেশালে সাদা রঙের তলানি পড়বে। তাতেই প্রমাণ হবে ফরমিক অ্যাসিড তথা ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন।
এখন কথা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালনিরে উপস্তিতি পরীক্ষার উপকরণগুলো সহজলভ্য নয় । আর সবচেয়ে বড় কথা, কেনার সময় যদি সাথে করে এসব নিয়ে যেতে হয় তাহলে হয়তো কেনাটাই ছেড়ে দিতে হবে

তাই আমরা জনসাধারণ যাতে সহজ উপায়ে চিনতে পারি বা থেকে কিছুটা রক্ষা পাই সেই চেষ্টাই করি-
১. ফরমালিনবিহীন মাছের ফুলকা উজ্জ্বল লাল র্বণ , চোখ ও আঁইশ উজ্জ্বল হয়,শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়,মাছের দেহ নরম হয় ।অন্যদিকে ফরমালিনযুক্ত মাছের ফুলকা ধূসর, চোখ ঘোলাটে ও ফরমালনিরে গন্ধ পাওয়া যায় হয়,আঁইশ তুলনামূলক ধূসর র্বণরে হয় ,শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায়, দেহ তুলনামূলক শক্ত হয় ।
২.পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
৩. লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।
 ৪.প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
 ৫.সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।
৬.যে ধরনের রাসায়নিক দেয়া হোক না কেন যদি একটু আমরা একটু সচেতন হই তাহলে ফল খাওয়া সম্ভব। আমাদের যা করতে হবে তা হল- খাওয়ার আগে এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশী সময় ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
৭.লিচু কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকার পর হয় ইটা লাল। এখন গাছে রাসায়নিক স্প্রে করে যার ফলে লিচু গাঁড় মেজেনটা রং ধারন করে তা বড়ই মনমুগ্ধকর। কিন্তু  চকচক করলে সোনা হয় না সেটা মনে রেখে কখনোই গাঁড় মেজেনটা রঙ্গের লিচু কেনা যাবে না।
৮.সবজি রান্না করার আগে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
৯.বেগুনে এক ধরনের রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করা হয় ।এই রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার ক্ষতিকর না যদি নিয়মানুসারে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকেরা এ ব্যাপারে অজ্ঞ।তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।প্রতিটি কীটনাশকের ক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত থাকে।যেমন- একটি কীটনাশকের সেলফ লাইফ বা জীবন সীমা ৭দিন, তার মানে কীটনাশকটা ব্যবহারের ৭দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, যা কীটপতঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।তাই কৃষকদের উচিত কীটনাশক ব্যবহারের অন্তত ৭দিন পর ফলন তোলা।কিন্তু তারা তা না করে ২-১ দিনের মাঝেই ফলন তোলেন।ফলে কীটনাশকের ক্রিয়া ক্ষমতা  থেকে যায়, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের উপর। তাই বাজারে সতেজ, উজ্জ্বল বেগুন না কিনে কিছুটা অনুজ্জ্বল, পোকায় কিছুটা আক্রান্ত এমন বেগুন কেনাই ভালো।

তথ্যসূত্র:
ফরমালিন টেস্ট- ১. সাইন্স ল্যাবরেটরী কর্তৃক  প্রচারিত লিফলেট
২.ডাঃ এ বি এম আবদুল্লাহ[বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়] 

লিখেছেন: সাবরিনা সুখী, http://www.techspate.com

Tuesday, November 6, 2012

অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা

অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা

বিভিন্ন সময়ে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন অনেকেই বড় অংকের টাকা নিয়ে যাতায়াতে বেশ উদ্বিগ্ন থাকেন। সব সময় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব না হওয়াতে ব্যক্তি পর্যায়ে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নগদ টাকা পরিবহন করতেই হয়।
 
বড় অংকের অর্থ আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন আপনি। যেদিন পুলিশী নিরাপত্তা প্রয়োজন হবে তার চার থেকে পাঁচ দিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর কবে এবং কোথায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন সেটা জানিয়ে আবেদন করতে পারেন, এজন্য আলাদা কোন মাশুল দিতে হবে না। আর দরখাস্ত করতে সশরীরে যেতে হবে রমনায় অবস্থিত পুলিশ কমিশনার অফিসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক্সচেঞ্জের( ৯৯৯ নম্বরে) ২২২২, ২৩৩৩, ২৪৪৪, ২৬৬৬  এক্সটেনশন নম্বরে ডায়াল করে বিস্তারিত জানতে পারেন।


Thursday, November 1, 2012

সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে আসা পর্যটকদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে কক্সবাজরে লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং

সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে আসা পর্যটকদের জীবনের নিরাপত্তা 
দিতে কক্সবাজরে লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং

সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে গিয়ে আর যেন কেউ অকালে প্রাণ না হারায় তাই কক্সবাজরে ইয়াসির লাইফ গার্ড, রবি লাইফ গার্ড ও কক্সবাজর লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং কাব প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আর এই লাইফ গার্ডদের আরো দ ও অভিজ্ঞ করতে “সমুদ্র হউক নিরাপদ” শিরোনামের এক প্রশিনের আয়োজন করেছে একটি বিদেশী সংস্থা। অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই প্রশিন হচ্ছে কয়েকটি ব্যাচে। একটি ব্যাচে ১২ জন অংশগ্রহনকারীকে ৫ দিন প্রশিন করানো হয়। কলাতলীস্থ প্যাসিফিক বীচ ক্যাফেতে অনুষ্ঠীত এই প্রশিটি ইতমধ্যে ৪ টি ব্যাচ সফল ভাবে শেষ করেছে। রয়েল ন্যাশনাল লাইফ বোট ইন্সটিটিউড (আরএনএলই) নামের এক বিদেশী সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিনটি করাচ্ছে কক্সবাজর লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং কাব। এই সংস্থাটির একটি বড় সফলতা হলো তারা বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ডের ১৬ জন সদস্যকে “সমুদ্র হউক নিরাপদ” প্রশিনটি করিয়েছেন। এ প্রশিনের বিভিন্ন বিষয় গুলোর মধ্যে রয়েছে, মানুষ কেন ডুবে যায়, ডুবার কারন, ডুবে যাওয়া মানুষ চিহ্নিত করা, সমুদ্র সম্পর্কে জানা ও সমুদ্র বিপদ সম্পর্কে জানা, গুপ্ত খাল সম্পর্কে জানা সহ আরো অনেক কিছু। প্রশিনটির প্রশিক শাহাদাত হোসেন জানান, এখন আমরা কর্মরত লাইফ গার্ডদের প্রশিনটি বিনামূল্যে করাচ্ছি যেনো তারা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পারে। সমুদ্রে গোসল করতে এসে প্রতি বছর অনেক পর্যটক প্রণ হারাচ্ছে। পর্যটকদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য লাইফ গার্ডরা থাকলেও তাদের যথাযথ দতা না থাকায় অনেকে ভেসে যাচ্ছে সগরের গভীরে। “সমুদ্র হউক নিরাপদ” প্রশিনটি করা থাকলে ভেসে যাওয়া মাসুষকে উদ্ধার করা ও বাচাঁনো অনেকটাই সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রশিক শাহাদাত হোসেন।
অন্য প্রশিক রাশেদ আলম বলেন আমরা যাদের প্রশিন দিয়েছি তারা এখন অনেক সচেতন। শুধুমাত্র সাতাঁর জানলেই মানুষ বাচাঁনো সম্ভব না সমুদ্রের শ্রোতে সাতাঁরের আভিজ্ঞতা কোন কাজেই আসেনা। তাই এখানে সাতাঁর ছাড়াও আরো বিভিন্ন কৌশল শেখানো হচ্ছে যেন সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে খুব সহজেই উদ্ধার করা যায়।

 

Monday, October 1, 2012

জেনে নিন কীভাবে অফলাইন ও অনলাইনে জিডি করবেন

জেনে নিন কীভাবে অফলাইন ও অনলাইনে জিডি করবেন

 

জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।

এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম  যেমন আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব
সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন। কোন থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ থানায় জিডি করে থাকেন। আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলেও তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জিডি করা
থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভুক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি ডায়েরীতে জিডির নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডির দুটি কপি করা হয়। একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটিতে জিডির নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর ও সীলমোহর দেয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়।
অভিযোগকারী নিজে জিডি লিখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে থানার কর্মকর্তাও লিখে দিয়ে থাকেন।
প্রতিটি জিডির বিপরীতে একটি নম্বর দেয়া হয়, ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারেন না।

অনলাইন জিডি
আবার পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বাখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

হারানো বিষয়ের জিডি
মোবাইল ফোনের সিম, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জমির দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে ঐ সব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানো সংবাদের জিডি চেয়ে থাকে, তাই ঐসব ক্ষেত্রে হারানো সংবাদের জিডি করে সেই জিডি নম্বরসহ কর্তৃপক্ষরে কাছে আবেদন করতে হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের আরও কিছু সেবা সম্পর্কে জানুন

জিডির নমুনা
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………. থানা
ঢাকা।
বিষয়: এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।
মহোদয়,
আমি নিম্ন সাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ঢাকা কলেজের পাশের রাস্তার একটি ফটোকপি করার দোকান থেকে হারিয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সার্টিফিকেটের বিবরণ:
পরীক্ষার নাম…শিক্ষাবর্ষ…রেজিষ্ট্রেশন নং… রোল নং…
দাখিলকারী,
….
ঠিকানা…
ফোন…


লিখেছেনঃ শাহীন শিমুল

অনলাইনে জিডি 

(আইনি সেবা যেন হিতে বিপরীত না হয়)

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির নতুন একটি পরিসেবা চালু করেছে রাজধানীতে। ‘ও পুলিশ, ও বন্ধু আমার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করা যাবে ঢাকার থানাগুলোতে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, সহজে কেউ থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হতে চান না। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে সময় এবং দূরত্বও একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের সাহায্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে থানা-পুলিশের পরিসেবা পাওয়ার বিষয়টা নিঃসন্দেহে আধুনিক, ঝক্কি-ঝামেলামুক্তÑ সর্বোপরি ‘মেঘ না চাইতেই জল’-এর মতো ঘরে বসেই সেবাপ্রাপ্তি। দুই মাস আগে পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরা থানায় এ কার্যক্রম চালু হলেও ইতিবাচক অভিজ্ঞতার আলোকে ডিএমপি এ সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আপাতত পাসপোর্ট, সনদপত্র, পরিচয়পত্র, চেকবই হারানোসহ ছোটখাটো ছিনতাই, গৃহকর্মী-দারোয়ানের পালিয়ে যাওয়া, ভাড়াটে সংক্রান্ত তথ্য, প্রবাসীদের সমস্যা ইত্যাদি সাত ধরনের বিষয়ে জিডি করা যাবে বলে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ এও বলেছে, খুব জরুরি নয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশি সহায়তার প্রয়োজন নেইÑ আপাতত অনলাইনে এ ধরনের বিষয়েই কেবল জিডি করা যাবে। তাৎক্ষণিক পুলিশি সহায়তার প্রয়োজন হলে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে ফোনে অথবা সশরীরে থানার সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি থানায় দৈনিক গড়ে প্রায় দেড় হাজার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অ্যান্ট্রি হয়। এর মধ্যে ব্যস্ততম থানাগুলোতে কোনো কোনোদিন সাধারণ ডায়েরির সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যায়। অনলাইন পদ্ধতি চালু হলেও রাজধানীর থানাগুলোতে হাতে লেখা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পদ্ধতিও চালু থাকবে। সূত্র জানায়, প্রতিদিন সাধারণ মানুষ হারানো সংক্রান্ত কারণ ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করে থাকেন। এ ছাড়া পুলিশের ডিউটি বণ্টন ও অস্ত্র জমা দেয়া-নেয়া সংক্রান্ত কাজেও থানায় জিডি অ্যান্ট্রি হয়ে থাকে। এসব সাধারণ কাজে হাতে লেখা জিডির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জিডি এবং মামলার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা না থাকায় আইনগত জটিলতা বাড়তে পারে এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ওসি শাহ আলম বিপিএম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তুললে পারলে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। সাধারণ ডায়েরির তদন্তভার কোন কর্মকর্তাকে দেয়া হবে সে বিষয়টি মূলত প্রতিদিন রাতে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অনলাইনে জিডির তদন্তের বিষয়টিও রাতে নির্ধারণ করা হবে। রমনা জোনের ডিসি কৃষ্ণচন্দ্র রায় জানান, যেসব থানায় কম্পিউটার নেই সেসব থানায় জোনাল উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তাদের কম্পিউটারে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, অনলাইনে সাধারণ মানুষের জন্য এ ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে দেয়ায় সাধারণ ডায়েরির যথেচ্ছ ব্যবহার হবে। আর তদন্ত করতে গিয়ে বাড়তি ঝামেলায় পড়বে পুলিশ। তবে এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক জানান, প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আইনি সেবা পৌঁছে দিতে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডিএমপি হেড কোয়ার্টার ডিসি হাবিবুর রহমান জানান, মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা তো কেবল কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং নথিপত্রসহ যে কোনো কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা এবং ব্যবস্থা গ্রহণই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। অনলাইনে জিডির ক্ষেত্রে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে কাজ করতে হবে প্রতিটি থানা-পুলিশকে। একই সঙ্গে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে কেউ যেন কাউকে ব্ল্যাকমেইল অথবা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেনস্তা ও হয়রানি করতে না পারেÑ সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। যে ব্যক্তি জিডি করবে অবশ্যই তার পূর্ণ নাম-ঠিকানা তথা বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাসহ প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে। মোট কথা, এই আইনি অবাধ সুযোগ যেন হিতে বিপরীত না হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানীর সব থানাসহ দেশের সব থানা ও পুলিশি কার্যালয়কে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা গেলে সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ উপকৃত হবে দেশবাসী। তবে অনলাইন জিডি করতে হলে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট http://www.dmp.gov.bd-এ প্রবেশ করলে Citizen Help Request নামে একটি লিংক পাওয়া যাবে। লিংকটিতে ক্লিক করে অনলাইনে জিডি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করার তালিকা আসবে। যে ধরনের তথ্য দিয়ে জিডি করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে। এবার তথ্য পূরণ করার খালি বক্স আসবে। তথ্যাবলি যথাযথ পূরণ করে ঝঁনসরঃ বাটনটি চাপলে সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে যাবে আপনার তথ্য। আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি শনাক্তকরণ নাম্বার পাবেন। নাম্বারটি সংগ্রহ করুন। আপনার সাধারণ ডায়েরি বা জিডির কপি পেতে পরবর্তী সময়ে নাম্বারটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করুন। চাইলে আপনার কোনো মতামত নিয়ে সরাসরি পুলিশের bangladesh@polic.gov.bd ঠিকানায় মেইলও পাঠাতে পারবেন। আর ফ্যাক্স করতে পারবেন ৮৮০-২-৯৫৫৮৮৮ নাম্বারে। আর জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল করতে পারেন ০১৭১৩৩৭৩১০৯। 

Source: http://www.somewhereinblog.net

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০

 

Related Link:

থানায় জিডি করতে হয়রানিঃ বিকল্প নয়, কার্যকর তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে 

থানায় জিডি করতে যেয়ে কে কে বিপদে পড়েন নাই হাত তোলেন?

জেনে নিন গোপন ক্যামেরা এবং আয়না থেকে বাঁচার উপায়

জেনে নিন গোপন ক্যামেরা এবং আয়না থেকে বাঁচার উপায়

আজকাল চলতে ফিরতে আমাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই আর যতটুকু আছে তা অপ্রতুল।আর তাই বর্তমানে গোপন ক্যামেরা এবং আয়না একটি আতংকের নাম।শপিংমলের টয়লেট থেকে শুরু করে সবখানে এই গোপন ক্যামেরার আতংক।ইন্টারনেটে ঢুকলেই দেখা মিলে ক্যামেরার ভিডিও ছবি বা নিউজ।আমাদের মা বোনদের ইজ্জতের দাম তাদের কাছে হাসির খোরাক।
প্রথমেই বলে রাখি গোপন ক্যামেরায় এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে আপনার পাশের মানুষটির কলম বা হাতঘড়িতেও থাকতে পারে গোপন ক্যামেরা।
বলে রাখা ভাল: বিভ্রান্ত হবেন না।
সঠিক তথ্য জানুন:
১। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ক্যামেরা সনাক্তকরন যায় কি? সহজ উত্তর হলো না। মোবাইল ফোনে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এবং গোপন ক্যামেরার প্রযুক্তি ভিন্ন। ফলে গোপন ক্যামেরা থাকলে মোবাইল নেটোর্য়াক জ্যাম হবার কোন কারন নেই। গোপন ক্যামেরা বসানো যায়গায় আপনি ভালভাবেই মোবাইলে কথা বলতে পারবেন এটি নিশ্চিত ১০০%। সাধারনতভাবে মোবাইল ফোনে GSM-900 এবং GSM-1800 সিগনাল ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে গোপন ক্যামেরাতে ২.৫ গিগা হার্জের এফ সিগনাল ব্যবহার করা হয়, যা মোবাইল সিগনালের চেয়ে ভিন্ন। আর যদি তার দিয়ে (সেটা অপটিক্যাল ফাইবার বে যেকোন ধরনের তার হোক না কেন) গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় তাহলেও ত মোবাইল দিয়ে সনাক্ত কোনভাবেই করা যাবে না।
২। ডুয়েল মিররের এপাশ থেকে দেখলে এটাকে একটা সাধারণ আয়না ছাড়া কিছুই মনে হবে না। কিন্তু উল্টো পাশ থেকে আয়নার এপাশের সব কিছুই পরিষ্কার দেখায় যায় সাধারণ কাঁচের মতো। এটিও আংগুল চাপাচাপি করে ধরতে পারবেন না। আপনার সান গ্লাস দিয়েই এটি টেস্ট করতে পারেন।সুতরাং অযথা বোকা হবেন না! কেউ কেউ ফেসবুক সহ ব্লগে ব্লগে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
আসুন দেখি কিভাবে চিহ্নিত করতে পারেন গোপন ক্যামেরা, যদিও কাজটি স হজ নয়:-
১। গোপন ক্যামেরা আছে সন্দেহ হলে, চারপাশ ভাল করে দেখুন। মুলত ছাদের কোনা, দেয়ালের ছবি, ফুলের টব অথবা আয়নার পিছনে বসানো হয় এটি। সুতরাং এই জায়গাগুলি ভাল করে খেয়াল করুন।
২। সিডি প্লেয়ার বা এজাতীয় বস্তুতেও বাসনো হয়। মুলত রুমের অন্ধকার এলাকা গুলিতে গোপন ক্যামেরা বসানো হয়, যাতে আলোকিত এলাকার ছবি ভাল মত আসে।
৩। রুম পুরোটা অন্ধকার করে কিছু সময় নিন, যাতে করে চোখ অন্ধকারকে সয়ে যায়। এবার খুব ভাল করে দেখুন …লাল, সবুজ বা হালকা নীল কোন আলো কোথা থেকে বের হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন। যদি খুজে পান তবে ধরে নিতে পারেন সেটা ক্যামেরা।
৪। এটি একটি পুরানা পদ্ধতি তবে অনেক সময় কাজে লাগে,,, রুমের সকল তার গুলি খেয়াল করুন, কোন তার কোথায় গেছে সেটি বুঝার চেস্টা করুন। তার গুলির মাঝে যদি একটি তার বিশেষ কোন কোনায় চলে যায় বা এরকম সন্দেহ করেন তবে তার গন্তব্য এর শেষ টা দেখুন, পাইলেও পাইতে পারেন…..
৫। অনেক ক্যামেরাতে “মোশনডিটেক্টর” থাকে। মানে হলো আপনি রুমের যেদিকে যাবেন ক্যামেরার লেন্স অটোমেটিক সেই দিকে ঘুরে যাবে। আপনি রুম অন্ধকার করে একটি সময় নিন। এরপর খুব সাবধানে শব্ধ না করে রুমের এদিক থেক ওদিক যান। কান খাড়া করে কোন শব্দ পান কিনা খেয়াল করুন। আপনার নড়াচড়ার সাথে সাথে যদি হালকা লেন্স ঘুড়ার শব্দ পান তবেই বুঝবেন কাম হয়ে গেছে….
৬। অতি আধুনিক কিছু যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় , যা গোপন ক্যামেরা সনাক্ত করতে পারে। সেগুলি মুলত চীনের তৈরি, কম দামে নেট হতে কিনতে পারেন, যদি আপনি খুব বেশি ঘুড়াঘুরি করেন বা গোপন ক্যামেরার ভয় পান, না হলে কিনার দরকার নেই, নিজেই বানাতে পারেন সেটা। বলছি ….
একটি সাদা কাগজ বা এ জাতীয় যে কোন কিছু নিন, না পেলে টয়লেট পেপারের ভিতর যে রোলটা থাকে সেটাও নিতে পারেন। সোজা কথায় কাগজ বা নিউজপেপার যাই হোক গোল করে বাইনোকুলার বা দুরবীনের মত করুন। বলতে ভুলে গেছি একটি টর্চলাইট লাগবে, মোড়ের দোকানেই পাবেন ছোট টর্চলাইট দামও বেশি না।
এবার ঘরের সব লাইট বন্ধ করে টর্চ লাইট টি জালান। যে জায়গায় টর্চের আলো ফেলবেন ঠিক সেই জায়গাটি রোল বা গোল করা কাগজের মধ্য দিয়ে এক চোখ দিয়ে তাকান। এভাবে সারা রুমটি খোজ করুন। সময় লাগবে প্রায় ৩০ মিনিট। যদি গোপন ক্যামেরা থাকে তবে টর্চের আলো ক্যামেরার ছোট লেন্সের উপর পরলে সেটা চিক চিক করবে ফলে আপনি যখন রোল করা কাগজের মধ্য দিয়ে দেখবেন তখন অনেকটা স হজেই চিনতে পারবেন। এব্যাপারে অভিগ্গ হতে চাইলে আপনার ডিজিট্যাল ক্যামেরাটি ঘরের ভিতর যেকোন জায়গায় চালু করুন বা লুকিয়ে ফেলুন, এর পর টর্চ আর রোল করা কাগজ দিয়ে চেস্টা করুন লুকানো ক্যামেরাটি বের করতে পারেন না, যদি পারেন তবে আপনি পারবেন,,,আপনার দ্বারাই হবে ….
আধুনিক প্রযুক্তি মানেই নতুন কিছু , নতুন ঝামেলাও বটে। শেষে বলি একটি কথা আপনার পরিচিত কেউ হতে পারেন গোপন ক্যামেরার শিকার। যদি সেটি ঘটেই যায়, তবে হই হট্টোগল করে পানি ঘোলা করবেন না। যার ছবি উঠেছে বা প্রকাশ পেয়েছে তার সাথে স্বাভাবিক আচরন করুন, কারন এতে উনার তো দোষ নেই। উনাকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দিন।


গোপন ক্যামেরা এবং আয়না থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

গোপন ক্যামেরা এবং আয়না থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় 

আজকাল চলতে ফিরতে আমাদের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই আর যতটুকু আছে তা অপ্রতুল।আর তাই বর্তমানে গোপন ক্যামেরা এবং আয়না একটি আতংকের নাম।শপিংমলের টয়লেট থেকে শুরু করে সবখানে এই গোপন ক্যামেরার আতংক।ইন্টারনেটে ঢুকলেই নানান সাইটে দেখা মিলে গোপন ক্যামেরার ভিডিও ও ছবি বা নিউজ।আমাদের মা-বোনদের ইজ্জতের দাম ওদের কাছে হাসির খোরাক।শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে (যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় বা ফিটিং চ্যাক করে),লেডিস টয়লেটে গোপন ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে সবার অজান্তে।কেউ জানেনা এই খবর, কিন্তু সেই ক্যামেরায় ধরা পড়ছে আমাদের অসংখ্য মা-বোন।অল্পকিছু টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে সেসব নগ্ন ভিডিও বা ছবি।
খুব সহজে নির্নয় করা যায় রুমে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব আছে কিনা। এরজন্য আপনার লাগবে একটা মোবাইল ফোন(সিম এক্টিভ করা)যেখান থেকে কল করা যায়।
এবার ট্রায়াল রুমে(যেখানে কাপড় পাল্টাবেন) ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল দেয়ার চেষ্টা করুন।যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে- তাহলে গোপন ক্যামেরা নাই।আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে ডাউন হয়ে যায়- তাহলে অবধারিতভাবে বুঝবেন সেখানে গোপন ক্যামেরা রয়েছে।
গোপন ক্যামেরার সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে।সিগনাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে।যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ঐখানে কাজ করে না।এভাবেই আপনি পারেন গোপন ক্যামেরার নোংরামি থেকে বাঁচতে।
শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে (যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় বা ফিটিং চ্যাক করে) সেখানে যে আয়না থাকে সেটা আসল নাও হতে পারে, এটিও গোপন ক্যামেরার মতই মারাত্মক।আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না।এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন না যে অন্যপাশে একজন আপনাকে দেখছে!
আপনার আঙ্গুল আয়নার উপর রাখুন।যদি আপনার আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্ব আঙ্গুলের মাথার সাথে না লাগে(মাঝে যদি ফাঁকা থাকে) তাহলে আয়না আসল।
আর যদি আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্বের মাথার সাথে লেগে যায়, তার মানে আয়না নকল! এটা আসল আয়না না, একটা দ্বিমুখী আয়না- যার অন্যপাশে থেকে আপনাকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি তাকে দেখতে পাবেন না। মানে অন্যপাশে থেকে কেউ আপনাকে দেখছে বা ভিডিও করছে!
কারন আসল আয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য।আর নকল আয়নার (দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে কারন মাঝে কোনো বাধা নেই।
আর তাই আসুন আমরা সবাই সচেতন হই।নিজের দেশকে রক্ষা করি এই নোংরামির হাত থেকে।

উৎস: হ্যালো-টুডে

 

Tuesday, September 25, 2012

জনগনের সাথে অভিনব প্রতারনা: সর্বশান্ত হয় মধ্যবিত্তরা

জনগনের সাথে অভিনব প্রতারনা: সর্বশান্ত হয় মধ্যবিত্তরা


বাগেরহাট : কে না চায় বড়লোক হতে, আর খুব দ্রুত বড়লোক হতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া পরিবারের অনেকেই। আর মধ্যবিত্ত মানুষের বড়লোক হওয়ার স্বপ্নকে কাজে লাগিয়ে এক ধরণের প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রতারকদের পাতানো ফাদে পা দিচ্ছে বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মধ্যবিত্ত মানুষ।

যারা নিজেদের সর্বোচ্চ বিক্রি করে প্রতারকদের আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছে কিন্তু বিনিময়ে তারা শুধু  অর্থ পাওয়ার বা বড়লোক হওয়ার স্বপ্নই দেখছে আসলে কিছুই পাচ্ছে না।
প্রতারক চক্রের মূল হাতিয়ার হচ্ছে, সীমানা পিলার, পুরোনো রম্নপার মুদ্রা, তামার মুদ্রা, সিংহ মার্কা মুদ্রা, পুরোনো দলীল, কষ্টি পাথরের মুর্তি, কাচের পুরম্ন বোতল, বোন আলুর মুথা, কালো বিড়াল আর এর সাথে নতুন যোগ হয়েছে তড়্গক(কাকা)। মূলত এসবকে ভিত্তি করেই লোভ দেখানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, আর উল্লেখিত জন্তু ও বস্তু গুলোকে বোঝানো হচ্ছে মহামূল্যবান হিসেবে,
যেমন বলা হচ্ছে একটি সীমানা পিলারের দাম ৫-৫০কোটি টাকা, একটি পুরোনো তামা ও রূপার মুদ্রার দাম ৫-১০লাখ টাকা, একটি সিংহ মার্কা পয়সার দাম ২.৫-৭লাখ টাকা, পুরোনো দলীলের দাম ১-১০ লক্ষ টাকা, একটি কাচের পুরু বোতলের দাম ৩-৮ লক্ষ টাকা, কষ্টি পাথরের মুর্তি ১০-১০০ কোটি টাকা, বোন আলুর বড় মুথার দাম ১০-১৫ লক্ষ টাকা, একটি কালো বিড়ালের দাম অর্ধ কোটি টাকা আর নতুন স্থান পাওয়া  একটি তক্ষক(কাকা) এর দাম (১০০-৫০০০) কোটি টাকা এসব পন্য, বস্তু বা প্রাণীর এত দাম শোনার পরে কোন সাধারন মানুষ ঠিক থাকতে পারেনা।
আর এসব লোভ দেখিয়ে একটি সংগঠিত প্রতারক দল বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
প্রতারক দল গুলো খুবই সংগঠিত ভাবে কাজ কলে। জেলা পর্যায়ে এ দলের সদস্য সংখ্যা থাকে ১০-২০জন। প্রথমে এদের দলের যে কাউকে দিয়ে সহজ-সরল মদ্যবিত্ত একাধিক মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করায় এবং আস্তেআস্তে তাদের সাথে সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হয় এবং এক সময় বলে আমার কাছে মহামূল্যবান  সীমানা পিলার, পুরোনো রুপার মুদ্রা, তামার মুদ্রা———–আছে, আমি ভাবছি কিছু দিব তাতেই তোমার ১৪পুরুষ বসে জীবন কাটাতে পারবে ইত্যাদি। এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পরে তার্গেটকৃত ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা ধার চায় প্রতারক এবং পরিচয় করিয়ে দেয় দলে আরও কিছু সদস্যদের সাথে। আর এক এক করে ঐ তার্গেটকৃত ব্যক্তি সবৃশান্ত না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে টাকা নেওয়ার খেলা। আর যখন সে টাকা টাকা দিতে দিতে সর্ব শানত্ম হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তখন আর প্রতারকদের খুজে পাওয়া যায় না। এভাবেই চলে তাদের প্রতারণার ব্যবসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাগেরহাটের কচুয়ার জনৈক ভ্যান ড্রাইভার বললেন, “ভাই পিলারের পিছনে হাটতে গিয়ে বাপের ৮বিঘা(৫একর) সম্পত্তি ধ্বংস করেছি এখন বৌ-পোলা পান নিয়ে ভ্যান চালাইয়া খাই” কিভাবে টাকা খেয়ালেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দু:সম্পর্কেও আত্মীয় মোশারেফ হাজী সাহেব নামে এক ভদ্রলোক প্রথমে আমার কাছে আসে এবং আমার বাড়ী বাজার করে নিয়ে আসা, আমার বাচ্চামের খাবার কিনে দেওয়াসহ  আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে এবং এক পর্যায়ে আমাকে তার কাছে একটি মহামূল্যবান পিলার আছে বলে জানায়, তার কিছুদিন পরে পিলার বিক্রি করে আমাকে অর্ধেক দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
তারপর থেকেই পিলার সংরক্ষন, পিলার ক্রয়ের পার্টি খোজাসহ বিভিন্ন অজুহাতে ২.৫বছরে(২০০৯-২০১১) আমার কাছ থেকে প্রায় ১০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি পিলার বিক্রি করা কোটি কোটি টাকা পাওয়ার নেশায় অন্ধ ছিলাম তাই সে যখন যা বলছে তাই দিয়েছি।
এক পর্যায়ে যখন বুঝতে পারলাম যে, আমি কোন দিনই পিলার পাব না তখন আমি তাকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলাম কিন্তু তিনি আমাকে পুলিশের ভয় দেখাল। এর কিছুদিন পরে ২০১১ সালের শেষের দিকে তিনি এলাকা থেকে নিখোজ হলে এবং এখনও বাড়ীতে আসে নাই শুনছি ইন্ডিয়া থাকে।
এছাড়াও বাগেরহাট জেলার বিভন্ন উপজেলায় খেঅজ নিলে শতাধিক ব্যক্তি পাওয়া যাবে যারা প্রতারনার শিকার হয়েছেন। নয় উপজেলার সবচেচয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লোক পাওয়া যাবে ফকিরহাটে। কিন্তু বিষয় হচ্ছে কোন ব্যক্তি এ বিষয়ে প্রতারিত হলেও শিকার করতে রাজি হয় না।
তবে প্রতারিত লোকজন এসব প্রতারকদের শাস্তি চায়।

রিপোর্ট »মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বার , ২০১২

 

Monday, August 20, 2012

রাজধানীতে আর্থিক লেনদেনে নিরাপত্তা সহায়তা দিবে পুলিশ

রাজধানীতে আর্থিক লেনদেনে নিরাপত্তা সহায়তা দিবে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান মাসে রাজধানীতে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনে নিরাপত্তা সহায়তা দিবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শনিবার ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থের লেন- দেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পাবে। কোন ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এস্কর্ট প্রদান করবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ এস্কর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের সংস্থান করতে হবে। সহায়তা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হযেছে। কন্ট্রোলরুমের নম্বর সমূহ নিম্নরূপ ঃ ফোন ঃ ৯৫৫৯৯৩৩, ৯৫৫১১৮৮, ৯৫১৪৪০০, ০১৭১৩-৩৯৮৩১১, ০১১৯১-০০১১২২ ও ৯৯৯ (ডিএমপি)।

Source: http://www.kholakagoj.com 

Wednesday, August 8, 2012

খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ দুষণ রোধে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ

খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ দুষণ রোধে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ
 
 এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম


অধিক জনসংখ্যার সীমিত ভুখন্ডের এ দেশ। খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। তামাক চাষ অগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাদ্য ভান্ডারের জমি দখল করে নিচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের খাদ্যভান্ডার বলে পরিচিত চলনবিল এখন দখল করে নিচ্ছে তামাক চাষ, পাবর্ত্য এলাকায় এ বিষের ছোয়া রন্ধে রন্ধে। 

তামাক চাষ  শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, এই বিষবৃক্ষ চাষ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপনন সকল ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত করছে জনসাধারণকে।  তামাক পাতা উঠানোর মৌসুমে বাড়ীর নারী, পুরুষ শিশু সকলে একসাথে মাঠে কাজ করতে হয়। এসময় শিশুরা স্কুল কামাই করে তাদের অবিভাবকদের সাথে মাঠে কাজ করে। ফলে তামাক চাষীদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এভাবে তাদের শিক্ষাজীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ রাসায়নিক ও কীটনাশক মাটির উর্ব্বরতা হ্রাস, পানি ধারণ ক্ষমতা নষ্ট এবং ক্ষয় বৃদ্ধি করছে। এছাড়া রাসায়নিকের প্রভাবে  জনস্বাস্থ্য, বনভূমি, পানি, জলজ প্রাণী, পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদী ও জলাশয়ের ঢালু উর্বর জমিতে ক্ষতিকর তামাক চাষ করায় এ জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের রাসায়নিক গিয়ে নদী-জলাশয়ের পানিতে মেশায় সে পানি দূষিত হয়ে পড়ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকগুলো পানি সাথে মিশে গিয়ে সুপেয় পানির উৎস নষ্ট করছে।

তামাক পাতা শুকানোর সময় উক্ত এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কাঠ, তুষ বা খড় পোড়ানোর ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। পার্বত্য এলাকায় তামাক পাতা শুকানোর জন্য ব্যাপকভাবে বনাঞ্চলের গাছ কাটা হচ্ছে, বনভূমিকে ধ্বংশ করছে। তামাক চাষ করার ফলে কৃষক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হবার আশংকা থাকে। গবেষনায় দেখা গেছে, তামাক চাষী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বার্জার্স এবং গ্রীণ টোব্যাকো সিকনেস (GTS)  ব্যাপকভাবে লক্ষনীয়। এক গবেষনায় দেখা গেছে যে, টানা কয়েকদিন তামাক পোড়ানোর পর অনেক কৃষক এত বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তারা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তামাক পোড়ানো শেষে কৃষককের বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দূর্বলতা দেখা যায় । 

বিগত অর্থবছরে কৃষি জমিতে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে তামাক (আন-ম্যানুফ্যাকচার্ড) রপ্তানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তামাক চাষের জন্য ঋণ প্রদান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তথাপিও তামাক চাষ অব্যাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

ক্স    খাদ্য সংকট মোকাবেলায় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন।
ক্স    তামাক চাষের প্রেক্ষিতে দখল হয়ে যাওয়া খাদ্য শষ্যের জমিতে, খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান।
ক্স    তামাষ চাষ, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ ক্ষতি নিরূপনে গবেষণা সম্পন্ন।
ক্স    তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রক্রিয়ায় শিশুদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা।
ক্স    তামাক শুকানোর প্রক্রিয়ায় পরিবেশ দুষণ ও বৃক্ষ নির্ধণ বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ
ক্স    তামাক চাষের জন্য সহযোগিতা ও সুবিধা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ
ক্স    কৃষকদের তামাক চাষ হতে বিরত রাখতে প্রচারণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা

 

Monday, June 25, 2012

কষ্টের শেষ নেই পুলিশের: নেই থাকার মতো বাসস্থান, মাসে ট্রাফিক অ্যালাউন্স ২৩ টাকা

কষ্টের শেষ নেই পুলিশের:
নেই থাকার মতো বাসস্থান
মাসে ট্রাফিক অ্যালাউন্স ২৩ টাকা
- সাখাওয়াত কাওসার
'আমাগো কেউ মানুষ বলে মনে করে না। কোনো সরকারই আমাগো কষ্ট বুঝতে চায় না। শুধু খাটায়া নেয়। সারা দিন খাটনির পর রাতে ব্যারাকে ফিরাও দেখি পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই। খাবারও নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় বাধ্য হয়ে নোংরা পোশাকেই আবার ডিউটিতে বাইর হওয়া লাগে। কোথায় যাব কন? আমরা কি আসলেই মানুষ!' আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বললেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ব্যারাকের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক।

নীলক্ষেত মোড়ে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, আমাদের থাকার মতো কোনো বাসস্থানের ব্যবস্থা নাই। কাঠফাটা রোদে কমপক্ষে আট ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাসে আমাকে ট্রাফিক অ্যালাউন্স বাবদ দেওয়া হয় মাত্র ২৩ টাকা। এই গরমে একটি ডাব খেতেও ৫০ টাকা লাগে। আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা মেলে তাদের এই 'অন্য জীবনের'।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, 'আসলে ওদের কষ্টগুলো আমরা বুঝি। কিন্তু কী করব বলুন। আমরাও তো সমস্যার বাইরে নই। হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং বিভিন্ন ধরনের দৈব দুর্বিপাকে পুলিশকেই বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর পরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি নিচের স্তরের পুলিশ সদস্যদের সমস্যার সমাধান করতে।'

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূরুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে বাহিনীটি জনগণসহ সব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত, তাকে নিয়েই দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। পুলিশ বিভাগের জন্য খরচকে 'বিনিয়োগ' মনে করতে হবে। সরকারের উচিত বাজেটের উন্নয়ন খাতে এই খরচকে অন্তর্ভুক্ত করা। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত গাড়ি বরাদ্দ না পেয়ে পুলিশ বিভাগ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পন্সরশিপ হিসেবে গাড়ি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে স্পন্সররাও অনেক সময় তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করছে। এ বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ব্রিটিশদের তৈরি দাসত্বমূলক আইনের বেড়াজালে বন্দী পুলিশ। নূ্যনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রত্যাশা অনেকটা দিবাস্বপ্নের মতো। বাংলাদেশে পুলিশ ও জনগণের অনুপাত ১:১২০০, ভারতে ১:৭২৮, পাকিস্তানে ১:৪৭৭, নেপালে ১:৩৬৭। ভারতে পুলিশের বাজেট তাদের জিডিপির ১%, পাকিস্তানে ২.১৫%, নেপালে ৬.৮২%। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিডিপির মাত্র ০.৫৮%, যা সত্যি হতাশাজনক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় আট হাজার পুলিশ সদস্যের আবাসস্থল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস। তবে সেখানে কোনো পুলিশ সদস্যের নির্দিষ্ট কোনো বিছানা নেই। পালা করে একাধিক পুলিশ সদস্য থাকছেন একেকটি বিছানায়। ছারপোকার কামড় তাদের নিত্যসঙ্গী। ব্যারাকে ঘুমানোর মতো নির্দিষ্ট কোনো আসন বরাদ্দ নেই এমন পুলিশ সদস্যের হার কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ। শুধু থাকার কষ্টই নয়, পুলিশ সদস্যদের খাবারের সমস্যা আরও প্রকট। রাজারবাগ লাইনসে খাবার খেলে কিংবা না খেলেও মেস ম্যানেজার পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দকৃত রেশনসামগ্রী তুলে নিচ্ছেন। না খেয়েও খাওয়ার খরচ গুনতে হচ্ছে ছুটি ভোগকারী পুলিশ সদস্যদের। আগের রাতের রান্না করা সবজি পরিবেশন করা হচ্ছে পরের দিনের তিন বেলা। কেবল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস নয়, একই চিত্র দেশের প্রায় প্রতিটি পুলিশ লাইনসের পুলিশ সদস্যদের।

আবাসন সংকট : চরম আবাসন সংকটে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ডিএমপির সম্পত্তি শাখা সূত্র জানায়, মাত্র ৬১৮ জন পুলিশ আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। আবাসন সুবিধার দাবিদার ৭৫০ জন সাব-ইন্সপেক্টরের মধ্যে ৩৫৯ জন এবং ১৮ হাজার কনস্টেবলের মধ্যে মাত্র ১৮৬ জন এ সুবিধা পাচ্ছেন। ৭৪ জন সহকারী কমিশনারের (এসি) মধ্যে ৩৪ জন, ১৫ জন অতিরিক্ত কমিশনারের মধ্যে ১০ জন এবং উপকমিশনার (ডিসি) থেকে তদূধর্্ব পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা সবাই আবাসন সুবিধা পেয়েছেন।

ছুটি চাইলে বিড়ম্বনা : পাওনা ছুটি চাইতে গেলেও নিম্নস্তরের পুলিশ সদস্যদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। টাকা ছাড়া ছুটি মেলে না তাদের। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এক কনস্টেবল বলেন, 'ছুটি চাইলেই স্যারেরা খেপে যান। ফরম পূরণ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠতে হয় আমাদের। প্রথমে এলসি (লার্নড কনস্টেবল), পরে সিএইচএম (কোম্পানি হাবিলদার মেজর), সবশেষে সিসির (কোম্পানি কমান্ডার) অনুমতি নিতে হয়। তবে দিনপ্রতি ছুটির জন্য এলসিকে ১০০ টাকা না দিলে ছুটি কল্পনাও করা যায় না।'

চিকিৎসা : বাহিনী হওয়ার পরও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় হাসপাতালসহ দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে স্থায়ী কোনো জনবল নেই। পুলিশ হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনস্থ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানের ওপর নির্ভর করেই চলছে এর কার্যক্রম। বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলার অবস্থা আরও করুণ। অভিযোগ রয়েছে, সেবার বদলে জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার টার্গেট নিয়েই পুলিশ হাসপাতালে পোস্টিং নেন মেডিকেল কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা বেশ কয়েকবার জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন।

পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল ও উপ-পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে অনেক সময়ই সেবার বদলে যাতনা নিয়ে ফিরতে হয়। বেশির ভাগ অসুখের ক্ষেত্রেই তাদের প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করেন চিকিৎসকরা। তবে বিপরীত চিত্র প্রথম শ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে।

যানবাহন সমস্যা : পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা দামি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ভুগছেন যানবাহন সংকটে। অপরাধীরা যেখানে উন্নত মানের যানবাহন ব্যবহার করে দ্রুত অপরাধস্থল ত্যাগ করে, সেখানে চাহিদার তুলনায় পুলিশের যানবাহনের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য, অতি পুরনো ও জরাজীর্ণ। মহানগরীসহ অধিকাংশ এলাকায় যানবাহন অধিগ্রহণ (রিকুইজেশন) করে কাজ সম্পাদনের ফলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ : পুলিশ ছাড়া সরকারের অন্য সব বাহিনীতে বেতন ছাড়াও আলাদা ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। সাড়ে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পুলিশ-ভাতার প্রতিশ্রুতিরও কোনো বাস্তবায়ন নেই। এ ছাড়া যেখানে নিম্নপদের পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন অপারেশনে যান, সেখানে কেবল পরিদর্শক থেকে তদূধর্্ব পদের জন্য ঝুঁকিভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও তা নামে মাত্র।

কর্মঘণ্টা : সরকারের সব বিভাগে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আছে। অন্য সব বাহিনীতে। এ সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত শুধু পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন সময় পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি তুলে ধরলেও রহস্যজনক কারণে এটি সুনির্দিষ্ট করার কার্যক্রম থেমে যাচ্ছে। কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে ওভারটাইমের ব্যবস্থা করা হলে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতেন।

মিশন নিয়ে হতাশা : জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার প্রক্রিয়াগত জটিলতা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কর্মরত এক সহকারী উপ-পরিদর্শক বলেন, 'তিন বছর আগে তিনি মিশনে যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় পাস করেন। মন্ত্রী কিংবা ঊধর্্বতন প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের তদবির না থাকায় তিনি মিশনে যেতে পারেননি। আর মাত্র তিন মাস পর তিনি অবসরে যাবেন। তবে পাস না করেও লোকজন থাকায় অনেকেই জাতিসংঘ মিশনে যাচ্ছেন।'

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশের সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে সরকার অবগত। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে।

Sunday, June 24, 2012

যানযট থেকে মুক্তি এবং সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় আনুসাঙ্গিক প্রসঙ্গ

যানযট থেকে মুক্তি এবং 

সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় আনুসাঙ্গিক প্রসঙ্গ

- বাবুল হোসাইন

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

যানযট থেকে মুক্তির উপায়:
১. আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আইন আমাদেরকে সমানভাবে মানতে হবে।
২. আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে এবং আইন সবারজন্য সমান থাকতে হবে।
৩. আইন অমান্যকারীর শাস্তি ও জারমানা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও বাস্তবসম্মত আইন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ড্রাইভারদের ধৈয্য থাকতে হবে। আগে যাব আগে যাব চলার মন মানসিকতা ছাড়তে হবে। আপনি চলাচল করুন ও অন্য গাড়ী চলাচল করার সুযোগ দিন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
৬. ট্রাফিক সার্জেন্ট নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা।
৭. রাস্তার পাশে পার্কিং করা যাবে না।
৮. বড় মার্কেট, মাল্টিস্টোরেট বির্ল্ডিংগুলোর যাথেষ্ট পার্কিং স্পেস গড়ে তুলতে হবে।
৯. আইন সবার জন্য সমান থাকতে হবে।
১০. আইন না মানলে তাকে জরিমানা ও জেল দিতে হবে।
১১. ঢাকার ভিতরে পূর্ব ও পশ্চিমে রাস্তা বাড়াতে হবে বা লিংক রোড বাড়াতে হবে।
১২. আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভার গড়ে তুলতে হবে।
১৩. রাস্তার কোথাও সিটি কর্পোরেশনের ময়লার কন্টেইনার রাখা যাবে না।
১৪. মেইন রাস্তার পাশে স্কুল কলেজ গড়ে তোলা যাবে না।
১৫. আবাসিক এলাকায় ব্যস্ত অফিস গড়ে তোলা যাবে না।
১৬. রাস্তার পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখা যাবে না।
১৭. রাস্তার সংস্কার কাজ ও মার্কিং করে রাস্তা সুন্দর রাখতে হবে।
১৮. রাস্তার সিগনাল বাতির জন্য স্বনির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
১৯. ফুটপাথ দখলমুক্ত করা করতে হবে।
২০. বামপাশের লেন বন্ধ করা যাবে না, বন্ধ করলে জরিমানা ও শাস্তি পেতে হবে।
২১. রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় লুকিং গ্লাস, পিছনে ব্রেক লাইট ইন্ডিকেটর লাইট, ও গাড়ির নাম্বার প্লেট স্পষ্ট থাকতে হবে। গাড়িতে এড দেয়া চলবে না।
২২. বাস নির্ধারিত স্টপেজে থামবে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেড়ে যাবে। বাম পাশ ঘেষে যাত্রী উঠানামা করতে হবে।
২৩. সাধারণ জনগণ ফুটপাথ, ফুট ওভারব্রীজ, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস ব্যবহার করুন।
২৪. সি.এন.জি ষ্টেশনগুলোর দ্রুত সার্ভিস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ক. গ্যাসের চাপ যাতে কম না থাকে।
খ. পাঁচ ঘন্টা বন্ধ থাকার আইন শিথিল করা।
২৫. ঢাকার শহরতলী বা উপশহরস্থাপন করে শিল্পস্থাপনা, গার্মেন্টস শিল্প স্থানান্তর করা।
২৬. ঢাকা শহরের বাহিরে রেল নিয়ে যাওয়া। অথবা আন্ডারপাস বা ফ্লাইওভার স্থাপন করা যাতে বাস লাইন সরা সরি ক্রস না কারে।
 

সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য
সবার প্রতি পরামর্শ :
১. ড্রাইভার ভাইদের ধৈর্য্য থাকতে হবে।
২. ড্রাইভারদের অত্যধিক আত্মবিশ্বাস কমাতে হবে।
৩. আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
৪. নেশা জাতিয় দ্রব্য ব্যবহার করবেন না।
৫. আগে যাব আগে যাব চলার মন মানসিকতা ছাড়তে হবে।
৬. চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না ও চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালাবেন না।
৭. অস্থির মন নিয়ে গাড়ি চলাবেন না।
৮. একটানা ৫/৬ ঘন্টা গাড়ী চালনার পর বিশ্রাম নিন।
৯. আন্তজেলা গাড়ী চালনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব পার হওয়ার পরপর বিশ্রাম নিন।
১০. গাড়ী চালনাকালে সময়ের চাইতে জীবনের মূল্য দিন।
১১. রোড আঁকাবাঁকা ও ভাঙ্গাচোরা ও রোড সাইন দেখে গাড়ি ড্রাইভ করুন।
১২. সাধারণের গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালান।
১৩. গাড়ী ওভার টেকিং করার সময় খুব সতর্কতার সাথে ওভারটেকিং করুন।
১৪. গাড়ি রাস্তায় চালনোর পূর্বে আপনার গাড়ির ফিটনেস দেখে নিন। যেমন- ব্রেক, টায়ার এবং টায়ারের হাওয়া, ইঞ্জিনের মবিল, পানি, ব্রেক অয়েল, গিয়ার, অয়েল ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।
১৫. রাস্তায় গাড়ি চানানোর সময় আপনার গাড়ির লুকিং গ্লাস, হেড লাইট, ব্রেক লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট চেক করে নিবেন। আপনার লাইসেন্স, গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজ সাথে নিন।
১৬. রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রাস্তার সিগনাল বাতি, জরুরী প্রতিক, সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাবেন।
১৭. রাস্তায় কম্পিটিশন করে গড়ি চালাবেন না।
১৮. আপনি চলাচল করুন ও অন্য গাড়ী চলাচল করার সুযোগ দিন ।
১৯. বামপাশ ঘেষে যাত্রী উঠানামা করানোর সময় ইন্ডিকেটর বাতি ব্যবহার করুন।
২০. জেব্রা ক্রসিং এর পাশে সাধারণ যাতায়তের জন্য গাড়ী থামিয়ে রাস্তা পারাপরের সুযোগ দিন।
২১. প্রতি দুই থেকে তিন মাস পর পর ভাল কোন ওয়ার্কশপে আপনার গাড়ী পরীক্ষা করিয়ে নিন।


গাড়ীর মালিকদের প্রতি পরামর্শ

১. গাড়ীর মালিক হওয়ার সাথে সাথে রাস্তায় চলাচলের নিয়ম কানুন ভালভাবে জেনে নিন।
২. আপনার ড্রাইভারদেরকে কত ঘন্টা কাজ করাচ্ছেন তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন।
৩. আপনার ড্রাইভারদেরকে কত বেতন দিচ্ছেন এবং উৎসব ভাতা দিচ্ছেন কিনা?
৪. ওভারটাইম ভাতা দিন। সেই সাথে সাপ্তাহিক ছুটি দিন।
৫. আপনার ড্রাইভারের প্রায়োজনের দিকে নজর রাখুন।
৬. ড্রাইভরদের প্রতি সদব্যবহার করুন ও তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দিন।
৭. আপনার ড্রাইভার রাস্তার নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে মানছে কিনা খেয়াল করুন। তার বাজে নেশা আছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখুন।
৮. আপনার গাড়ী তিন মাস পরপর বি.আর.টি .এ বা উন্নতমানের ওয়ার্কশপে গাড়ী চেকআপ করাবেন।


রাস্তায় দূর্ঘটনা কেন ও কি কারণে হয়?
১. ড্রাইভারদের ধৈর্য্য না থাকা।
২. ড্রাইভারদের আত্মবিশ্বাস বেশী রকমের থাকা।
৩. রাস্তার স্পিড ব্রেকারের উপর রং না থাকা।
৪. নেশাগ্রস্থ অবস্থায়, চোখে ঘুম, শারীরিক অসুস্থতা, প্রচন্ড টেনশন নিয়ে গাড়ি চালানো।
৫. একটানা ৫/৬ ঘন্টার বেশী গাড়ী চালানো।
৬. আন্তজেলা গাড়ি চালনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর বিরতি না দেওয়া তথা ড্রাইভার এর রেষ্ট না হওয়া।
৭. আন্তজেলা গাড়ি চালনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর বিরতির সময় গাড়ির চাকা, পানি ও সাধারণ চেকআপ না দেওয়া।
৮. গাড়ি চালনার সময় একথা ভুলে যাওয়া যে “সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী”।
৯. গাড়ীর মালিককে ভাবতে হবে- ড্রাইভার ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া ও পর্যাপ্ত রেষ্ট নিয়েছে কিনা?
১০. গাড়ীর চলন্ত অবস্থায় গাড়ির স্পিড কত কিলো বেগে চলছে তা খেয়াল না করা।
১১. গাড়ীর মালিক ড্রাইভারকে কত ঘন্টা কাজ করাচ্ছেন?
১২. ড্রাইভারকে জানতে হবে গাড়ী চলন্ত অবস্থায় ধুমপান ও মোবাইলে কথা বলা নিষেধ।
১৩. গাড়ীর মালিক তার গাড়ি উন্নতমানের গেরেজ বা বি.আর.টি কর্তৃক পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছে কি না?
১৪. গাড়ীর কাগজপত্র ঠিক করার সময় বি.আর.টি কর্তৃপক্ষ গাড়ী পরীক্ষা না করা বা চেকআপ না করা।
১৫. রোড সাইন রোড সিগনাল বাতি, জরুরী প্রতীক, রোডের গতিসীমা, না মেনে অথবা না জেনে গাড়ি চালানো।
১৬. রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় টায়ার, টায়ারের হাওয়া, লুকিং গ্লাস, হেড লাইট, পিছনের ব্রেক লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট, ব্রেক অয়েল, গিয়ার অয়েল, ইঞ্জিন মবিল ও পানি না থাকা বা ব্যবহার না করা।
১৭. রোড আকাবাকা বা রাস্তার ভাঙাচোরা না দেখে গাড়ি চালানো।
১৮. রাস্তায় সাধারণ লোকজন জেব্রাক্রসিং বা ওভারব্রীজ ব্যবহার না করা।
১৯. বাম পাশে ওভারটেকিং করা ও বামপাশ ঘেষে যাত্রি উঠানামা না কারা।
২০. আমরা সাধারণ গাড়ীর যাত্রি চলন্ত অবস্থায় গাড়িতে উঠা।
২১. ষ্টপিজ ছাড়া গাড়ি থামানো ও গাড়ির যাত্রি উঠানামা করা।

রাস্তায় যানজটের কারণ :
১. ড্রাইভারদের ধৈর্য্য না থাকা, লাইন বিহীন বা লাইন ছাড়া গাড়ী চালানো,
২. আইন সবার জন্য সমান নয় বা আমরা সকলে সমানভাবে মানি না।
৩. ট্রাফিক পুলিশ এর অবহেলা ও সেই সাথে সাধারণ জ্ঞান না থাকা ও নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা।
৪. রাস্তায় সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডিপো থাকা ও রাস্তার পাশে নির্মান সামগ্রী রাখা।
৫. রাস্তা ভাঙা চোরা থাকা ও বামপাশের রাস্তা বন্ধ করে রাখা।
৬. রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় জরুরী প্রতীক না থাকা ও রাস্তায় রোডমার্ক সুন্দর পরিষ্কার না থাকা।
৭. রাস্তায় সিগনাল বাতি না থাকা অথবা নষ্ট থাকা ও বিকল্প হিসাবে সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা না থাকা।
৮. বহুতল বিল্ডিং এর নিজস্ব পার্কিংস্পেস না থাকায় যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং করে রাখা।
৯. ব্যাস্ত রাস্তার পাশে স্কুল কলেজ থাকা।
১০. কাউন্টার বাস এলোপাথারী থামানো ও অনর্থক বিলম্ব করা ।
১১. বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রিগণ রাস্তার ওপর দায়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করা।
১২. স্বল্প সময়ের জন্য আইনের কড়াকড়ি ও বেশীরভাগ সময়ে আইনের শিথিলতা বিরাজমান থাকা।
১৩. গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রি উঠানামা করানো।
১৪. রাজপথে ট্রেনিং বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ও গন্ডমূর্খ রিক্সাওয়ালাদের নূনতম জ্ঞানশুন্য রিক্সা চালানো।
১৫. গলির মাথায় এলোপাথারী রিক্সার জট, উল্টোপথে যাতায়াত, লাইন বিহীন রিক্সা চালানো।
১৬. ফুটপাথ হকারদের দখলে থাকা এবং রাস্তার উভয় সাইডের ৪০% দোকানদার ও ময়লা আবর্র্জনার দখলে থাকা।
১৭. রাস্তায় সাধারণ লোকজন জেব্রাক্রসিং বা ওভারব্রীজ ব্যবহার না করা।
১৮. সি.এন.জি ফিলিং ষ্টেশনের পাশে গাড়ীর লম্বা লাইন থাকা।
১৯. গাড়ী রাস্তায় চালানোর সময় লোকিং গ্লাস, পিছনে ব্রেক লাইট ও ইন্ডিকেটর লাইট না থাকা বা ব্যবহার না করা।

আমি আশা করি এই কথাগুলো কৃর্তপক্ষ নজরে দিবেন।

সতর্কবাণী
সাবধানে ড্রাইভ করি। সাবধানে রাস্তা পার হই।সাবধানে গাড়িতে উঠি, ফুটপাথ ও ওভারব্রীজ দিয়ে চলাচল করি। আইনকে শ্রদ্ধা করি। দৌড় দিয়ে রাস্তা পার না হই।
 

Source: http://www.somewhereinblog.net

Monday, June 18, 2012

চোরের চুরি করার রাস্তা সব দিক থেকে বন্ধ করে দিন! ওয়েব ক্যাম, আইপি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন দিয়ে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করুন বাড়ীতে! চোর পালাবে কোথায়!

চোরের চুরি করার রাস্তা সব দিক থেকে বন্ধ করে দিন! ওয়েব ক্যাম, আইপি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন দিয়ে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করুন বাড়ীতে! চোর পালাবে কোথায়!

-

আসলে হেডলাইনটা ঠিক মনের মতো হয়নি আমার। আসলে এই সফটওয়্যার এর এত এত ফিচার দেখে কোনটা রেখে কোনটা বলবো তা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। আমাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন,বস্র, বাসস্থানের পরে যে বিষয়টা আসে তা হলো নিরাপত্তা। যদিও নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের উপর কিছুটা বর্তায় কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে সেন্টু গেঞ্জিটাও চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন না। তাহলে কি করতে হবে? কেন নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরই নিতে হবে।

তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে নিজের বাড়ীর নিরাপত্তা দেয়া তেমন কঠিন কিছু না। তবে এই জন্য আপনার কিছু জিনিস পত্র লাগবে। তবে তেমন দামী কিছু না। একটা কম্পিউটার, ওয়েব ক্যাম বা আইপি ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন ব্যাস এতেই চলবে। আপনার বাড়ী যদি অনেক বড় হয় তাহলে একাধিক আইপি ক্যামেরা বা ওয়েব ক্যাম দিয়েও নিরাপত্তার বলয় তৈরি করতে পারবেন।
জিনিস পত্রতো গুছানো হলো এখন এদের কিভাবে ফিট করবেন এই তো? হুম ঠিক এই সময়ে পর্দায় হাজির হবে iSpy নামের অপ্রতিদ্বন্দ্বি ওপেন সোর্স একটি সফটওয়্যার এর। মাত্র ১৩ মেগাবাইটের সফটওয়্যার দিয়ে কি করা যায় না তাই বের করা কঠিন। চলুন  অতি সংক্ষেপে কিছু ফিচার সম্পর্কে জেনে নেই। তবে হ্যা এই বর্ণনা অনেকটা বিশাল রচনার সার্মমের মতো। কারণ এত ফিচার বলে শেষ করা যাবে না।

বাড়ীর নিরাপত্তাঃ

Home Securityআপনার ওয়েব ক্যামগুলো বা আইপি ক্যামেরাগুলো জায়গা মতো ফিট করে নিশ্চিন্তে চলে যান অফিসে বা অন্য কোথাও। যেকোন সময় বাড়ীর অবস্থা চেক করতে পারবেন iSpy এর ওয়েব সাইট থেকে। জরুরি কোন ঘটনা যদি ঘটে যায় তাহলে সাথে সাথে মোবাইলে ম্যাসেজতো চলে আসছেই। আর ইন্সটান্ট ভিডিও দেখতে পাবেন ইউটিউবে অটোমেটিক!

অফিসের নিরাপত্তায় iSpy:

Office Surveillance
অফিসে যদি আপনি না থাকেন তাহলে চোরের জন্য চুরি করার সেটাই ভাল সময়। তাই বাড়ীর নিরাপত্তার
পাশাপাশি যদি অফিসেও iSpy এবং কম্পিউটার সেটিংগুলো ঠিক করে দিতে পারেন তাহলে আর পায় কে!

কর্মক্ষেত্র মনিটরিং:

Work Monitoring
আপনি যদি আপনার অফিসের কর্মচারীরা আপনার অনুপস্থিতিতে কাজ ঠিক মতো করে কিনা তা জানার জন্য চিন্তিত থাকেন তাহলে তাদের কম্পিউটারে iSpy ইন্সটল করে দিন তারপর পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও রান করে দিন ব্যস! এবার তাদের লাইভ কর্মকান্ড দেখুন পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে।

অটো পদক্ষেপঃ

আপনি iSpy  সফটওয়্যারটি ব্যাচ ফাইল, কমান্ড লাইন, ওয়েব এবং মোবাইল দিয়ে যখন নিয়ন্ত্রণ
Automation
করবেন তখন আপনি যদি কোন ব্যাচ ফাইল রান করাতে চান তাহলে ইচ্ছা করলেই পারবেন। যেমন ধরুন iSpy যখন নড়াচড়া ধরতে পারবে তখনি আপনার বাড়ীর লাইটগুলো জ্বেলে দিবে অথবা কুকুরের কর্কশ শব্দ চালু করে দিবে ইত্যাদি
। আর এসব কিছুই সাথে সাথে জেনে যাবেন আপনার মোবাইলে!


ভূত বা ভিনগ্রহের প্রাণী ধরতেঃ

কি শুনতে অদ্ভুত শোনাচ্ছে? তবে জেনে রাখুন ভূত ধরতে বা ভিনগ্রহের প্রাণী ধরতে iSpy
Office Surveillance
এর চেয়ে সেরা কিছু আর পাবেন না। খুব সুক্ষ্ম নড়াচড়া আর হালকা শব্দ সবই ক্যাপচার করতে পারে।
তাই অনেক মজার কিছু আশা করতেই পারেন!

পোষা প্রাণীদের চোখে চোখে রাখতেঃ

আপনার কুকুরটি যদি চিৎকার করতে থাকে তাহলে iSpy মাইক্রোফোনের মাধ্যমে তা রেকর্ড করে রাখবে। আর তখন যদি আপনার ধমকের প্রয়োজন হয় কুকুরকে থামাতে তাহলে আগে থেকে রেকর্ড করা আপনার ধমকটি সাথেই সাথেই কুকুরকে শুনিয়ে দিবে আর কুকুর হয়ে যাবে ঠান্ডা! :P

Pet Monitoring




মেশিন মনিটরিং :

আপনার যদি কারখানা থাকে তাহলে সেই মেশিনগুলো ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা মনিটরিং করবে iSpy।

Machinery Monitoring
Wildlife Watching

প্রাণী জগত দেখুন আরো কাছ থেকেঃ

একটা ওয়েব ক্যাম রাখুন পাখির বাসায় অথবা আপনার প্রিয় কোন প্রাণীর সন্নিকটে তাহলেই তাদের দৈনিক কার্যক্রম দেখতে পাবেন যখন খুশি।

Theft Protection

চোর প্রতিরোধে iSpy:

আপনার বাড়ীতে যদি কেউ তালা ভেঙ্গে বা আপনার অজান্তে ঢুকে পড়ে আর অন্যান্য জিনিসের সাথে আপনার প্রিয় কম্পিউটারটিও চুরি করতে চায় তাহলে iSpy অটো মোশন ডিটেক্ট করে রেকর্ড করা শুরু করে দিবে যা সাথে সাথেই FTP, মেইল বা ম্যাসেজ করে চোরের ছবি পাঠিয়ে দিবে!

Theft Protection
বাচ্চাদের দেখাশুনার দায়িত্ব দিন iSpy কেঃআপনার বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখতে iSpy কে ফিট করে দিন। যদি বাচ্চা কান্না শুরু করে দেয় তাহলেই সাউন্ড মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে জেনে নিন আপনার বাচ্চার খিদা লেগেছে :D
এছাড়াও আরো কত ফিচার যে আছে! বিস্তারিত জানুন এখানে।
কিছু স্ক্রিনশট দেখে নেই চলুন।
আরো অনেক ছবি আছে। সাইটে গেলেই পাবেন। এখন কথা হলো কিভাবে ক্যামেরা কনফিগার করবেন এইতো? তেমন বেশি কঠিন কিছু না। আপনার প্রয়োজনেই আপনি সব সেটিংস খুজে নিবেন। ধারণা পেতে দেখুন এই ভিডিও
http://youtu.be/rNorgmOVQI0
আরো বিস্তারিত সেটিংস জানুন এখানে।

ডাউনলোডঃ

iSpy  (Windows XP, Vista, 7 and 8) v4.2.8.0

সাইজ মাত্র ১৩ মেগাবাইট। আর পুরাই ফ্রী!!!!!!

আসলে অনেক ফিচারই বাদ পড়ে গেছে। বাকিগুলো নিজে নিজে আবিস্কার করুন আর মেতে উঠুন প্রযুক্তির নিরাপত্তায়!
ধন্যবাদ সবাইকে। :)

 Source: http://www.techtunes.com.bd/