Thursday, November 1, 2012

সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে আসা পর্যটকদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে কক্সবাজরে লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং

সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে আসা পর্যটকদের জীবনের নিরাপত্তা 
দিতে কক্সবাজরে লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং

সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে গিয়ে আর যেন কেউ অকালে প্রাণ না হারায় তাই কক্সবাজরে ইয়াসির লাইফ গার্ড, রবি লাইফ গার্ড ও কক্সবাজর লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং কাব প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আর এই লাইফ গার্ডদের আরো দ ও অভিজ্ঞ করতে “সমুদ্র হউক নিরাপদ” শিরোনামের এক প্রশিনের আয়োজন করেছে একটি বিদেশী সংস্থা। অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই প্রশিন হচ্ছে কয়েকটি ব্যাচে। একটি ব্যাচে ১২ জন অংশগ্রহনকারীকে ৫ দিন প্রশিন করানো হয়। কলাতলীস্থ প্যাসিফিক বীচ ক্যাফেতে অনুষ্ঠীত এই প্রশিটি ইতমধ্যে ৪ টি ব্যাচ সফল ভাবে শেষ করেছে। রয়েল ন্যাশনাল লাইফ বোট ইন্সটিটিউড (আরএনএলই) নামের এক বিদেশী সংস্থার সহযোগিতায় প্রশিনটি করাচ্ছে কক্সবাজর লাইফ সেভিং এন্ড সার্ফিং কাব। এই সংস্থাটির একটি বড় সফলতা হলো তারা বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ডের ১৬ জন সদস্যকে “সমুদ্র হউক নিরাপদ” প্রশিনটি করিয়েছেন। এ প্রশিনের বিভিন্ন বিষয় গুলোর মধ্যে রয়েছে, মানুষ কেন ডুবে যায়, ডুবার কারন, ডুবে যাওয়া মানুষ চিহ্নিত করা, সমুদ্র সম্পর্কে জানা ও সমুদ্র বিপদ সম্পর্কে জানা, গুপ্ত খাল সম্পর্কে জানা সহ আরো অনেক কিছু। প্রশিনটির প্রশিক শাহাদাত হোসেন জানান, এখন আমরা কর্মরত লাইফ গার্ডদের প্রশিনটি বিনামূল্যে করাচ্ছি যেনো তারা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পারে। সমুদ্রে গোসল করতে এসে প্রতি বছর অনেক পর্যটক প্রণ হারাচ্ছে। পর্যটকদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য লাইফ গার্ডরা থাকলেও তাদের যথাযথ দতা না থাকায় অনেকে ভেসে যাচ্ছে সগরের গভীরে। “সমুদ্র হউক নিরাপদ” প্রশিনটি করা থাকলে ভেসে যাওয়া মাসুষকে উদ্ধার করা ও বাচাঁনো অনেকটাই সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রশিক শাহাদাত হোসেন।
অন্য প্রশিক রাশেদ আলম বলেন আমরা যাদের প্রশিন দিয়েছি তারা এখন অনেক সচেতন। শুধুমাত্র সাতাঁর জানলেই মানুষ বাচাঁনো সম্ভব না সমুদ্রের শ্রোতে সাতাঁরের আভিজ্ঞতা কোন কাজেই আসেনা। তাই এখানে সাতাঁর ছাড়াও আরো বিভিন্ন কৌশল শেখানো হচ্ছে যেন সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে খুব সহজেই উদ্ধার করা যায়।

 

No comments:

Post a Comment