Thursday, November 8, 2012

২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিয়ে ১৫দিনেও পৌঁছে না ডকুমেন্ট\ হারিয়েও যায়

২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিয়ে ১৫দিনেও 
পৌঁছে না ডকুমেন্ট\ হারিয়েও যায়

মিয়া হোসেন : দেশের যে কোন স্থানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং বিদেশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডকুমেন্ট পৌঁছানোর শ্লোগান দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার। কিন্তু বর্তমানে তাদের সেবা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার শ্লোগান দিলেও ১৫ দিনেও পৌঁছে না ডকুমেন্ট। এমন কী অভিযোগ করেও তার কোন সমাধান মিলছে না। ডকুমেন্ট হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের সেবার  বেহাল অবস্থা। ডকুমেন্ট যথাসময়ে পৌঁছে না। আর ডকুমেন্ট না পৌঁছলে তা প্রেরককে ফেরত দেয়া হয় না। কোন ডকুমেন্ট না পৌঁছলে অফিসে অভিযোগ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মগবাজার ওয়ারলেস রেলগেট শাখা থেকে গত ১০ অক্টোবর একটি ডকুমেন্ট ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। যার রশিদ নাম্বার ৪৭০৩৮১। ২৪ ঘণ্টায় ডকুমেন্ট পৌঁছানোর কথা বলা হলেও ১০ দিন পার হয়ে যায়। কিন্তু ডকুমেন্ট পৌঁছে না। অবশেষে তিনি সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রধান কার্যালয়ে ২১ অক্টোবর অভিযোগ করেন। প্রধান কার্যালয়ের অভিযোগ বিভাগ তা খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে আরো কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে যায়। তবু ডকুমেন্ট পৌঁছে না। আবার ওয়ারলেস রেলগেট শাখায় অভিযোগ করা হলে, শাখা থেকে জানানো হয়, আপনার ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ প্রধান কার্যালয়ের লিপিবদ্ধ হয়েছে। যার নাম্বার ৪৯৪, তারিখ ২১ অক্টোবর ১২। আমরা একাধিকবার খোঁজ নিয়েছি, এ বিষয়ে এখন আমাদের কিছু করার নেই। এখনো পর্যন্ত এ ডকুমেন্টের কোন হদিস পায়নি গ্রাহক। এভাবে অনেক গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডকুমেন্ট হারিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, তারা প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ পেয়ে থাকেন। এ সব অভিযোগ খাতায় লিপিবদ্ধ করে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়। প্রাপকের ঠিকানা না পাওয়া গেলে বা প্রাপক গ্রহণ না করলে ডকুমেন্ট প্রেরকের কাছে ফেরত দেয়া হয়। প্রতিদিন এমন ২/৩টি ডকুমেন্ট ফেরত যায় বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের ডিজিএম সাইফুল ইসলাম তপন দৈনিক সংগ্রামকে জানান, এক দেড় মাস আগে আমাদের এ সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন আর এ ধরনের কোন সমস্যা নেই। কোন ডকুমেন্ট না পৌঁছানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে তিনি জানান।

No comments:

Post a Comment