Monday, June 25, 2012

কষ্টের শেষ নেই পুলিশের: নেই থাকার মতো বাসস্থান, মাসে ট্রাফিক অ্যালাউন্স ২৩ টাকা

কষ্টের শেষ নেই পুলিশের:
নেই থাকার মতো বাসস্থান
মাসে ট্রাফিক অ্যালাউন্স ২৩ টাকা
- সাখাওয়াত কাওসার
'আমাগো কেউ মানুষ বলে মনে করে না। কোনো সরকারই আমাগো কষ্ট বুঝতে চায় না। শুধু খাটায়া নেয়। সারা দিন খাটনির পর রাতে ব্যারাকে ফিরাও দেখি পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই। খাবারও নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় বাধ্য হয়ে নোংরা পোশাকেই আবার ডিউটিতে বাইর হওয়া লাগে। কোথায় যাব কন? আমরা কি আসলেই মানুষ!' আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বললেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ব্যারাকের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক।

নীলক্ষেত মোড়ে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, আমাদের থাকার মতো কোনো বাসস্থানের ব্যবস্থা নাই। কাঠফাটা রোদে কমপক্ষে আট ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাসে আমাকে ট্রাফিক অ্যালাউন্স বাবদ দেওয়া হয় মাত্র ২৩ টাকা। এই গরমে একটি ডাব খেতেও ৫০ টাকা লাগে। আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা মেলে তাদের এই 'অন্য জীবনের'।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, 'আসলে ওদের কষ্টগুলো আমরা বুঝি। কিন্তু কী করব বলুন। আমরাও তো সমস্যার বাইরে নই। হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং বিভিন্ন ধরনের দৈব দুর্বিপাকে পুলিশকেই বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর পরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি নিচের স্তরের পুলিশ সদস্যদের সমস্যার সমাধান করতে।'

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূরুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে বাহিনীটি জনগণসহ সব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত, তাকে নিয়েই দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। পুলিশ বিভাগের জন্য খরচকে 'বিনিয়োগ' মনে করতে হবে। সরকারের উচিত বাজেটের উন্নয়ন খাতে এই খরচকে অন্তর্ভুক্ত করা। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত গাড়ি বরাদ্দ না পেয়ে পুলিশ বিভাগ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পন্সরশিপ হিসেবে গাড়ি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে স্পন্সররাও অনেক সময় তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করছে। এ বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ব্রিটিশদের তৈরি দাসত্বমূলক আইনের বেড়াজালে বন্দী পুলিশ। নূ্যনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রত্যাশা অনেকটা দিবাস্বপ্নের মতো। বাংলাদেশে পুলিশ ও জনগণের অনুপাত ১:১২০০, ভারতে ১:৭২৮, পাকিস্তানে ১:৪৭৭, নেপালে ১:৩৬৭। ভারতে পুলিশের বাজেট তাদের জিডিপির ১%, পাকিস্তানে ২.১৫%, নেপালে ৬.৮২%। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিডিপির মাত্র ০.৫৮%, যা সত্যি হতাশাজনক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় আট হাজার পুলিশ সদস্যের আবাসস্থল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস। তবে সেখানে কোনো পুলিশ সদস্যের নির্দিষ্ট কোনো বিছানা নেই। পালা করে একাধিক পুলিশ সদস্য থাকছেন একেকটি বিছানায়। ছারপোকার কামড় তাদের নিত্যসঙ্গী। ব্যারাকে ঘুমানোর মতো নির্দিষ্ট কোনো আসন বরাদ্দ নেই এমন পুলিশ সদস্যের হার কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ। শুধু থাকার কষ্টই নয়, পুলিশ সদস্যদের খাবারের সমস্যা আরও প্রকট। রাজারবাগ লাইনসে খাবার খেলে কিংবা না খেলেও মেস ম্যানেজার পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দকৃত রেশনসামগ্রী তুলে নিচ্ছেন। না খেয়েও খাওয়ার খরচ গুনতে হচ্ছে ছুটি ভোগকারী পুলিশ সদস্যদের। আগের রাতের রান্না করা সবজি পরিবেশন করা হচ্ছে পরের দিনের তিন বেলা। কেবল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস নয়, একই চিত্র দেশের প্রায় প্রতিটি পুলিশ লাইনসের পুলিশ সদস্যদের।

আবাসন সংকট : চরম আবাসন সংকটে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ডিএমপির সম্পত্তি শাখা সূত্র জানায়, মাত্র ৬১৮ জন পুলিশ আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। আবাসন সুবিধার দাবিদার ৭৫০ জন সাব-ইন্সপেক্টরের মধ্যে ৩৫৯ জন এবং ১৮ হাজার কনস্টেবলের মধ্যে মাত্র ১৮৬ জন এ সুবিধা পাচ্ছেন। ৭৪ জন সহকারী কমিশনারের (এসি) মধ্যে ৩৪ জন, ১৫ জন অতিরিক্ত কমিশনারের মধ্যে ১০ জন এবং উপকমিশনার (ডিসি) থেকে তদূধর্্ব পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা সবাই আবাসন সুবিধা পেয়েছেন।

ছুটি চাইলে বিড়ম্বনা : পাওনা ছুটি চাইতে গেলেও নিম্নস্তরের পুলিশ সদস্যদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। টাকা ছাড়া ছুটি মেলে না তাদের। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এক কনস্টেবল বলেন, 'ছুটি চাইলেই স্যারেরা খেপে যান। ফরম পূরণ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠতে হয় আমাদের। প্রথমে এলসি (লার্নড কনস্টেবল), পরে সিএইচএম (কোম্পানি হাবিলদার মেজর), সবশেষে সিসির (কোম্পানি কমান্ডার) অনুমতি নিতে হয়। তবে দিনপ্রতি ছুটির জন্য এলসিকে ১০০ টাকা না দিলে ছুটি কল্পনাও করা যায় না।'

চিকিৎসা : বাহিনী হওয়ার পরও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় হাসপাতালসহ দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে স্থায়ী কোনো জনবল নেই। পুলিশ হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনস্থ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানের ওপর নির্ভর করেই চলছে এর কার্যক্রম। বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলার অবস্থা আরও করুণ। অভিযোগ রয়েছে, সেবার বদলে জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার টার্গেট নিয়েই পুলিশ হাসপাতালে পোস্টিং নেন মেডিকেল কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা বেশ কয়েকবার জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন।

পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল ও উপ-পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে অনেক সময়ই সেবার বদলে যাতনা নিয়ে ফিরতে হয়। বেশির ভাগ অসুখের ক্ষেত্রেই তাদের প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করেন চিকিৎসকরা। তবে বিপরীত চিত্র প্রথম শ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে।

যানবাহন সমস্যা : পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা দামি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ভুগছেন যানবাহন সংকটে। অপরাধীরা যেখানে উন্নত মানের যানবাহন ব্যবহার করে দ্রুত অপরাধস্থল ত্যাগ করে, সেখানে চাহিদার তুলনায় পুলিশের যানবাহনের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য, অতি পুরনো ও জরাজীর্ণ। মহানগরীসহ অধিকাংশ এলাকায় যানবাহন অধিগ্রহণ (রিকুইজেশন) করে কাজ সম্পাদনের ফলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ : পুলিশ ছাড়া সরকারের অন্য সব বাহিনীতে বেতন ছাড়াও আলাদা ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। সাড়ে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পুলিশ-ভাতার প্রতিশ্রুতিরও কোনো বাস্তবায়ন নেই। এ ছাড়া যেখানে নিম্নপদের পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন অপারেশনে যান, সেখানে কেবল পরিদর্শক থেকে তদূধর্্ব পদের জন্য ঝুঁকিভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও তা নামে মাত্র।

কর্মঘণ্টা : সরকারের সব বিভাগে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আছে। অন্য সব বাহিনীতে। এ সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত শুধু পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন সময় পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি তুলে ধরলেও রহস্যজনক কারণে এটি সুনির্দিষ্ট করার কার্যক্রম থেমে যাচ্ছে। কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে ওভারটাইমের ব্যবস্থা করা হলে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতেন।

মিশন নিয়ে হতাশা : জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার প্রক্রিয়াগত জটিলতা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কর্মরত এক সহকারী উপ-পরিদর্শক বলেন, 'তিন বছর আগে তিনি মিশনে যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় পাস করেন। মন্ত্রী কিংবা ঊধর্্বতন প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের তদবির না থাকায় তিনি মিশনে যেতে পারেননি। আর মাত্র তিন মাস পর তিনি অবসরে যাবেন। তবে পাস না করেও লোকজন থাকায় অনেকেই জাতিসংঘ মিশনে যাচ্ছেন।'

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশের সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে সরকার অবগত। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে।

Sunday, June 24, 2012

যানযট থেকে মুক্তি এবং সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় আনুসাঙ্গিক প্রসঙ্গ

যানযট থেকে মুক্তি এবং 

সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় আনুসাঙ্গিক প্রসঙ্গ

- বাবুল হোসাইন

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

যানযট থেকে মুক্তির উপায়:
১. আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আইন আমাদেরকে সমানভাবে মানতে হবে।
২. আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে এবং আইন সবারজন্য সমান থাকতে হবে।
৩. আইন অমান্যকারীর শাস্তি ও জারমানা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও বাস্তবসম্মত আইন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ড্রাইভারদের ধৈয্য থাকতে হবে। আগে যাব আগে যাব চলার মন মানসিকতা ছাড়তে হবে। আপনি চলাচল করুন ও অন্য গাড়ী চলাচল করার সুযোগ দিন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
৬. ট্রাফিক সার্জেন্ট নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা।
৭. রাস্তার পাশে পার্কিং করা যাবে না।
৮. বড় মার্কেট, মাল্টিস্টোরেট বির্ল্ডিংগুলোর যাথেষ্ট পার্কিং স্পেস গড়ে তুলতে হবে।
৯. আইন সবার জন্য সমান থাকতে হবে।
১০. আইন না মানলে তাকে জরিমানা ও জেল দিতে হবে।
১১. ঢাকার ভিতরে পূর্ব ও পশ্চিমে রাস্তা বাড়াতে হবে বা লিংক রোড বাড়াতে হবে।
১২. আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভার গড়ে তুলতে হবে।
১৩. রাস্তার কোথাও সিটি কর্পোরেশনের ময়লার কন্টেইনার রাখা যাবে না।
১৪. মেইন রাস্তার পাশে স্কুল কলেজ গড়ে তোলা যাবে না।
১৫. আবাসিক এলাকায় ব্যস্ত অফিস গড়ে তোলা যাবে না।
১৬. রাস্তার পাশে নির্মাণ সামগ্রী রাখা যাবে না।
১৭. রাস্তার সংস্কার কাজ ও মার্কিং করে রাস্তা সুন্দর রাখতে হবে।
১৮. রাস্তার সিগনাল বাতির জন্য স্বনির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
১৯. ফুটপাথ দখলমুক্ত করা করতে হবে।
২০. বামপাশের লেন বন্ধ করা যাবে না, বন্ধ করলে জরিমানা ও শাস্তি পেতে হবে।
২১. রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় লুকিং গ্লাস, পিছনে ব্রেক লাইট ইন্ডিকেটর লাইট, ও গাড়ির নাম্বার প্লেট স্পষ্ট থাকতে হবে। গাড়িতে এড দেয়া চলবে না।
২২. বাস নির্ধারিত স্টপেজে থামবে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেড়ে যাবে। বাম পাশ ঘেষে যাত্রী উঠানামা করতে হবে।
২৩. সাধারণ জনগণ ফুটপাথ, ফুট ওভারব্রীজ, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস ব্যবহার করুন।
২৪. সি.এন.জি ষ্টেশনগুলোর দ্রুত সার্ভিস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ক. গ্যাসের চাপ যাতে কম না থাকে।
খ. পাঁচ ঘন্টা বন্ধ থাকার আইন শিথিল করা।
২৫. ঢাকার শহরতলী বা উপশহরস্থাপন করে শিল্পস্থাপনা, গার্মেন্টস শিল্প স্থানান্তর করা।
২৬. ঢাকা শহরের বাহিরে রেল নিয়ে যাওয়া। অথবা আন্ডারপাস বা ফ্লাইওভার স্থাপন করা যাতে বাস লাইন সরা সরি ক্রস না কারে।
 

সড়ক দূর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য
সবার প্রতি পরামর্শ :
১. ড্রাইভার ভাইদের ধৈর্য্য থাকতে হবে।
২. ড্রাইভারদের অত্যধিক আত্মবিশ্বাস কমাতে হবে।
৩. আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
৪. নেশা জাতিয় দ্রব্য ব্যবহার করবেন না।
৫. আগে যাব আগে যাব চলার মন মানসিকতা ছাড়তে হবে।
৬. চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না ও চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালাবেন না।
৭. অস্থির মন নিয়ে গাড়ি চলাবেন না।
৮. একটানা ৫/৬ ঘন্টা গাড়ী চালনার পর বিশ্রাম নিন।
৯. আন্তজেলা গাড়ী চালনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব পার হওয়ার পরপর বিশ্রাম নিন।
১০. গাড়ী চালনাকালে সময়ের চাইতে জীবনের মূল্য দিন।
১১. রোড আঁকাবাঁকা ও ভাঙ্গাচোরা ও রোড সাইন দেখে গাড়ি ড্রাইভ করুন।
১২. সাধারণের গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালান।
১৩. গাড়ী ওভার টেকিং করার সময় খুব সতর্কতার সাথে ওভারটেকিং করুন।
১৪. গাড়ি রাস্তায় চালনোর পূর্বে আপনার গাড়ির ফিটনেস দেখে নিন। যেমন- ব্রেক, টায়ার এবং টায়ারের হাওয়া, ইঞ্জিনের মবিল, পানি, ব্রেক অয়েল, গিয়ার, অয়েল ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।
১৫. রাস্তায় গাড়ি চানানোর সময় আপনার গাড়ির লুকিং গ্লাস, হেড লাইট, ব্রেক লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট চেক করে নিবেন। আপনার লাইসেন্স, গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজ সাথে নিন।
১৬. রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রাস্তার সিগনাল বাতি, জরুরী প্রতিক, সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাবেন।
১৭. রাস্তায় কম্পিটিশন করে গড়ি চালাবেন না।
১৮. আপনি চলাচল করুন ও অন্য গাড়ী চলাচল করার সুযোগ দিন ।
১৯. বামপাশ ঘেষে যাত্রী উঠানামা করানোর সময় ইন্ডিকেটর বাতি ব্যবহার করুন।
২০. জেব্রা ক্রসিং এর পাশে সাধারণ যাতায়তের জন্য গাড়ী থামিয়ে রাস্তা পারাপরের সুযোগ দিন।
২১. প্রতি দুই থেকে তিন মাস পর পর ভাল কোন ওয়ার্কশপে আপনার গাড়ী পরীক্ষা করিয়ে নিন।


গাড়ীর মালিকদের প্রতি পরামর্শ

১. গাড়ীর মালিক হওয়ার সাথে সাথে রাস্তায় চলাচলের নিয়ম কানুন ভালভাবে জেনে নিন।
২. আপনার ড্রাইভারদেরকে কত ঘন্টা কাজ করাচ্ছেন তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন।
৩. আপনার ড্রাইভারদেরকে কত বেতন দিচ্ছেন এবং উৎসব ভাতা দিচ্ছেন কিনা?
৪. ওভারটাইম ভাতা দিন। সেই সাথে সাপ্তাহিক ছুটি দিন।
৫. আপনার ড্রাইভারের প্রায়োজনের দিকে নজর রাখুন।
৬. ড্রাইভরদের প্রতি সদব্যবহার করুন ও তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দিন।
৭. আপনার ড্রাইভার রাস্তার নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে মানছে কিনা খেয়াল করুন। তার বাজে নেশা আছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখুন।
৮. আপনার গাড়ী তিন মাস পরপর বি.আর.টি .এ বা উন্নতমানের ওয়ার্কশপে গাড়ী চেকআপ করাবেন।


রাস্তায় দূর্ঘটনা কেন ও কি কারণে হয়?
১. ড্রাইভারদের ধৈর্য্য না থাকা।
২. ড্রাইভারদের আত্মবিশ্বাস বেশী রকমের থাকা।
৩. রাস্তার স্পিড ব্রেকারের উপর রং না থাকা।
৪. নেশাগ্রস্থ অবস্থায়, চোখে ঘুম, শারীরিক অসুস্থতা, প্রচন্ড টেনশন নিয়ে গাড়ি চালানো।
৫. একটানা ৫/৬ ঘন্টার বেশী গাড়ী চালানো।
৬. আন্তজেলা গাড়ি চালনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর বিরতি না দেওয়া তথা ড্রাইভার এর রেষ্ট না হওয়া।
৭. আন্তজেলা গাড়ি চালনার সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর বিরতির সময় গাড়ির চাকা, পানি ও সাধারণ চেকআপ না দেওয়া।
৮. গাড়ি চালনার সময় একথা ভুলে যাওয়া যে “সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী”।
৯. গাড়ীর মালিককে ভাবতে হবে- ড্রাইভার ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া ও পর্যাপ্ত রেষ্ট নিয়েছে কিনা?
১০. গাড়ীর চলন্ত অবস্থায় গাড়ির স্পিড কত কিলো বেগে চলছে তা খেয়াল না করা।
১১. গাড়ীর মালিক ড্রাইভারকে কত ঘন্টা কাজ করাচ্ছেন?
১২. ড্রাইভারকে জানতে হবে গাড়ী চলন্ত অবস্থায় ধুমপান ও মোবাইলে কথা বলা নিষেধ।
১৩. গাড়ীর মালিক তার গাড়ি উন্নতমানের গেরেজ বা বি.আর.টি কর্তৃক পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছে কি না?
১৪. গাড়ীর কাগজপত্র ঠিক করার সময় বি.আর.টি কর্তৃপক্ষ গাড়ী পরীক্ষা না করা বা চেকআপ না করা।
১৫. রোড সাইন রোড সিগনাল বাতি, জরুরী প্রতীক, রোডের গতিসীমা, না মেনে অথবা না জেনে গাড়ি চালানো।
১৬. রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় টায়ার, টায়ারের হাওয়া, লুকিং গ্লাস, হেড লাইট, পিছনের ব্রেক লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট, ব্রেক অয়েল, গিয়ার অয়েল, ইঞ্জিন মবিল ও পানি না থাকা বা ব্যবহার না করা।
১৭. রোড আকাবাকা বা রাস্তার ভাঙাচোরা না দেখে গাড়ি চালানো।
১৮. রাস্তায় সাধারণ লোকজন জেব্রাক্রসিং বা ওভারব্রীজ ব্যবহার না করা।
১৯. বাম পাশে ওভারটেকিং করা ও বামপাশ ঘেষে যাত্রি উঠানামা না কারা।
২০. আমরা সাধারণ গাড়ীর যাত্রি চলন্ত অবস্থায় গাড়িতে উঠা।
২১. ষ্টপিজ ছাড়া গাড়ি থামানো ও গাড়ির যাত্রি উঠানামা করা।

রাস্তায় যানজটের কারণ :
১. ড্রাইভারদের ধৈর্য্য না থাকা, লাইন বিহীন বা লাইন ছাড়া গাড়ী চালানো,
২. আইন সবার জন্য সমান নয় বা আমরা সকলে সমানভাবে মানি না।
৩. ট্রাফিক পুলিশ এর অবহেলা ও সেই সাথে সাধারণ জ্ঞান না থাকা ও নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা।
৪. রাস্তায় সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডিপো থাকা ও রাস্তার পাশে নির্মান সামগ্রী রাখা।
৫. রাস্তা ভাঙা চোরা থাকা ও বামপাশের রাস্তা বন্ধ করে রাখা।
৬. রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় জরুরী প্রতীক না থাকা ও রাস্তায় রোডমার্ক সুন্দর পরিষ্কার না থাকা।
৭. রাস্তায় সিগনাল বাতি না থাকা অথবা নষ্ট থাকা ও বিকল্প হিসাবে সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা না থাকা।
৮. বহুতল বিল্ডিং এর নিজস্ব পার্কিংস্পেস না থাকায় যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং করে রাখা।
৯. ব্যাস্ত রাস্তার পাশে স্কুল কলেজ থাকা।
১০. কাউন্টার বাস এলোপাথারী থামানো ও অনর্থক বিলম্ব করা ।
১১. বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রিগণ রাস্তার ওপর দায়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করা।
১২. স্বল্প সময়ের জন্য আইনের কড়াকড়ি ও বেশীরভাগ সময়ে আইনের শিথিলতা বিরাজমান থাকা।
১৩. গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রি উঠানামা করানো।
১৪. রাজপথে ট্রেনিং বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ও গন্ডমূর্খ রিক্সাওয়ালাদের নূনতম জ্ঞানশুন্য রিক্সা চালানো।
১৫. গলির মাথায় এলোপাথারী রিক্সার জট, উল্টোপথে যাতায়াত, লাইন বিহীন রিক্সা চালানো।
১৬. ফুটপাথ হকারদের দখলে থাকা এবং রাস্তার উভয় সাইডের ৪০% দোকানদার ও ময়লা আবর্র্জনার দখলে থাকা।
১৭. রাস্তায় সাধারণ লোকজন জেব্রাক্রসিং বা ওভারব্রীজ ব্যবহার না করা।
১৮. সি.এন.জি ফিলিং ষ্টেশনের পাশে গাড়ীর লম্বা লাইন থাকা।
১৯. গাড়ী রাস্তায় চালানোর সময় লোকিং গ্লাস, পিছনে ব্রেক লাইট ও ইন্ডিকেটর লাইট না থাকা বা ব্যবহার না করা।

আমি আশা করি এই কথাগুলো কৃর্তপক্ষ নজরে দিবেন।

সতর্কবাণী
সাবধানে ড্রাইভ করি। সাবধানে রাস্তা পার হই।সাবধানে গাড়িতে উঠি, ফুটপাথ ও ওভারব্রীজ দিয়ে চলাচল করি। আইনকে শ্রদ্ধা করি। দৌড় দিয়ে রাস্তা পার না হই।
 

Source: http://www.somewhereinblog.net

Monday, June 18, 2012

চোরের চুরি করার রাস্তা সব দিক থেকে বন্ধ করে দিন! ওয়েব ক্যাম, আইপি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন দিয়ে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করুন বাড়ীতে! চোর পালাবে কোথায়!

চোরের চুরি করার রাস্তা সব দিক থেকে বন্ধ করে দিন! ওয়েব ক্যাম, আইপি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন দিয়ে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করুন বাড়ীতে! চোর পালাবে কোথায়!

-

আসলে হেডলাইনটা ঠিক মনের মতো হয়নি আমার। আসলে এই সফটওয়্যার এর এত এত ফিচার দেখে কোনটা রেখে কোনটা বলবো তা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। আমাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন,বস্র, বাসস্থানের পরে যে বিষয়টা আসে তা হলো নিরাপত্তা। যদিও নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের উপর কিছুটা বর্তায় কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে সেন্টু গেঞ্জিটাও চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন না। তাহলে কি করতে হবে? কেন নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরই নিতে হবে।

তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে নিজের বাড়ীর নিরাপত্তা দেয়া তেমন কঠিন কিছু না। তবে এই জন্য আপনার কিছু জিনিস পত্র লাগবে। তবে তেমন দামী কিছু না। একটা কম্পিউটার, ওয়েব ক্যাম বা আইপি ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন ব্যাস এতেই চলবে। আপনার বাড়ী যদি অনেক বড় হয় তাহলে একাধিক আইপি ক্যামেরা বা ওয়েব ক্যাম দিয়েও নিরাপত্তার বলয় তৈরি করতে পারবেন।
জিনিস পত্রতো গুছানো হলো এখন এদের কিভাবে ফিট করবেন এই তো? হুম ঠিক এই সময়ে পর্দায় হাজির হবে iSpy নামের অপ্রতিদ্বন্দ্বি ওপেন সোর্স একটি সফটওয়্যার এর। মাত্র ১৩ মেগাবাইটের সফটওয়্যার দিয়ে কি করা যায় না তাই বের করা কঠিন। চলুন  অতি সংক্ষেপে কিছু ফিচার সম্পর্কে জেনে নেই। তবে হ্যা এই বর্ণনা অনেকটা বিশাল রচনার সার্মমের মতো। কারণ এত ফিচার বলে শেষ করা যাবে না।

বাড়ীর নিরাপত্তাঃ

Home Securityআপনার ওয়েব ক্যামগুলো বা আইপি ক্যামেরাগুলো জায়গা মতো ফিট করে নিশ্চিন্তে চলে যান অফিসে বা অন্য কোথাও। যেকোন সময় বাড়ীর অবস্থা চেক করতে পারবেন iSpy এর ওয়েব সাইট থেকে। জরুরি কোন ঘটনা যদি ঘটে যায় তাহলে সাথে সাথে মোবাইলে ম্যাসেজতো চলে আসছেই। আর ইন্সটান্ট ভিডিও দেখতে পাবেন ইউটিউবে অটোমেটিক!

অফিসের নিরাপত্তায় iSpy:

Office Surveillance
অফিসে যদি আপনি না থাকেন তাহলে চোরের জন্য চুরি করার সেটাই ভাল সময়। তাই বাড়ীর নিরাপত্তার
পাশাপাশি যদি অফিসেও iSpy এবং কম্পিউটার সেটিংগুলো ঠিক করে দিতে পারেন তাহলে আর পায় কে!

কর্মক্ষেত্র মনিটরিং:

Work Monitoring
আপনি যদি আপনার অফিসের কর্মচারীরা আপনার অনুপস্থিতিতে কাজ ঠিক মতো করে কিনা তা জানার জন্য চিন্তিত থাকেন তাহলে তাদের কম্পিউটারে iSpy ইন্সটল করে দিন তারপর পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও রান করে দিন ব্যস! এবার তাদের লাইভ কর্মকান্ড দেখুন পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে।

অটো পদক্ষেপঃ

আপনি iSpy  সফটওয়্যারটি ব্যাচ ফাইল, কমান্ড লাইন, ওয়েব এবং মোবাইল দিয়ে যখন নিয়ন্ত্রণ
Automation
করবেন তখন আপনি যদি কোন ব্যাচ ফাইল রান করাতে চান তাহলে ইচ্ছা করলেই পারবেন। যেমন ধরুন iSpy যখন নড়াচড়া ধরতে পারবে তখনি আপনার বাড়ীর লাইটগুলো জ্বেলে দিবে অথবা কুকুরের কর্কশ শব্দ চালু করে দিবে ইত্যাদি
। আর এসব কিছুই সাথে সাথে জেনে যাবেন আপনার মোবাইলে!


ভূত বা ভিনগ্রহের প্রাণী ধরতেঃ

কি শুনতে অদ্ভুত শোনাচ্ছে? তবে জেনে রাখুন ভূত ধরতে বা ভিনগ্রহের প্রাণী ধরতে iSpy
Office Surveillance
এর চেয়ে সেরা কিছু আর পাবেন না। খুব সুক্ষ্ম নড়াচড়া আর হালকা শব্দ সবই ক্যাপচার করতে পারে।
তাই অনেক মজার কিছু আশা করতেই পারেন!

পোষা প্রাণীদের চোখে চোখে রাখতেঃ

আপনার কুকুরটি যদি চিৎকার করতে থাকে তাহলে iSpy মাইক্রোফোনের মাধ্যমে তা রেকর্ড করে রাখবে। আর তখন যদি আপনার ধমকের প্রয়োজন হয় কুকুরকে থামাতে তাহলে আগে থেকে রেকর্ড করা আপনার ধমকটি সাথেই সাথেই কুকুরকে শুনিয়ে দিবে আর কুকুর হয়ে যাবে ঠান্ডা! :P

Pet Monitoring




মেশিন মনিটরিং :

আপনার যদি কারখানা থাকে তাহলে সেই মেশিনগুলো ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা মনিটরিং করবে iSpy।

Machinery Monitoring
Wildlife Watching

প্রাণী জগত দেখুন আরো কাছ থেকেঃ

একটা ওয়েব ক্যাম রাখুন পাখির বাসায় অথবা আপনার প্রিয় কোন প্রাণীর সন্নিকটে তাহলেই তাদের দৈনিক কার্যক্রম দেখতে পাবেন যখন খুশি।

Theft Protection

চোর প্রতিরোধে iSpy:

আপনার বাড়ীতে যদি কেউ তালা ভেঙ্গে বা আপনার অজান্তে ঢুকে পড়ে আর অন্যান্য জিনিসের সাথে আপনার প্রিয় কম্পিউটারটিও চুরি করতে চায় তাহলে iSpy অটো মোশন ডিটেক্ট করে রেকর্ড করা শুরু করে দিবে যা সাথে সাথেই FTP, মেইল বা ম্যাসেজ করে চোরের ছবি পাঠিয়ে দিবে!

Theft Protection
বাচ্চাদের দেখাশুনার দায়িত্ব দিন iSpy কেঃআপনার বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখতে iSpy কে ফিট করে দিন। যদি বাচ্চা কান্না শুরু করে দেয় তাহলেই সাউন্ড মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে জেনে নিন আপনার বাচ্চার খিদা লেগেছে :D
এছাড়াও আরো কত ফিচার যে আছে! বিস্তারিত জানুন এখানে।
কিছু স্ক্রিনশট দেখে নেই চলুন।
আরো অনেক ছবি আছে। সাইটে গেলেই পাবেন। এখন কথা হলো কিভাবে ক্যামেরা কনফিগার করবেন এইতো? তেমন বেশি কঠিন কিছু না। আপনার প্রয়োজনেই আপনি সব সেটিংস খুজে নিবেন। ধারণা পেতে দেখুন এই ভিডিও
http://youtu.be/rNorgmOVQI0
আরো বিস্তারিত সেটিংস জানুন এখানে।

ডাউনলোডঃ

iSpy  (Windows XP, Vista, 7 and 8) v4.2.8.0

সাইজ মাত্র ১৩ মেগাবাইট। আর পুরাই ফ্রী!!!!!!

আসলে অনেক ফিচারই বাদ পড়ে গেছে। বাকিগুলো নিজে নিজে আবিস্কার করুন আর মেতে উঠুন প্রযুক্তির নিরাপত্তায়!
ধন্যবাদ সবাইকে। :)

 Source: http://www.techtunes.com.bd/

Tuesday, June 12, 2012

ফরমালিন কি এবং এ থেকে বাঁচার উপায়!

ফরমালিন কি এবং এ থেকে বাঁচার উপায়!



ফর্মালিন (-CHO-)n হল ফর্মালডিহাইডের (CH2O) পলিমার। ফর্মালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মত। পানিতে সহজেই দ্রবনীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফর্মালিনের জলীয় দ্রবনকে ফর্মালিন হিসাবে ধরা হয়। ফর্মালিন সাধারনত টেক্সটাইল, প্লাষ্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

► ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক:


▀ ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।


▀ তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।


▀ ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।


▀ ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।


▀ মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে।


▀ ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল সামগ্রী সব বয়সী মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা দিন দিন কমছে।


▀ গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।


▀ এ ধরনের খাদ্য খেয়ে অনেকে আগের তুলনায় এখন কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ভুগছেন। দেখা যাচ্ছে, কয়েক দিন পরপর একই রোগী ডায়রিয়ায় ভুগছেন, পেটের পীড়া ভালো হচ্ছে না, চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


► কিভাবে মাছ থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন ?


▀ পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।

▀ লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।
▀ প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
▀ সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।

► কিভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন ?


▀ খাওয়ার আগে ১০ মিনিট গরম লবণ পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখতে হবে।

 

Sourece: মোস্তফা ১২

http://www.somewhereinblog.net